বিরাট কোহলি (বাঁ দিকে) ও রোহিত শর্মা। —ফাইল চিত্র।
ভারতীয় দলের তিন শক্তিকেই তিন দুর্বলতা বলে মনে করছেন ইরফান পাঠান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৫ জুন প্রথম ম্যাচ খেলতে নামছে ভারত। তার আগে দলের কোচ রাহুল দ্রাবিড়কে সতর্ক করলেন তাঁর এক সময়ের সতীর্থ। পাঠানের মতে, এই তিন ক্রিকেটারের জন্য দলের ভারসাম্যে সমস্যা হচ্ছে।
সম্প্রচারকারী চ্যানেলে পাঠান বলেন, “বিশ্বকাপে ভারত দু’রকমের দল খেলাতে পারে। এক ক্ষেত্রে অক্ষর পটেলকে ধরে ছ’জন বোলার খেলানো যেতে পারে। অন্য ক্ষেত্রে চার জন প্রধান বোলারের পাশাপাশি হার্দিক পাণ্ড্য ও শিবম দুবেকে খেলানো যেতে পারে। ভারতের কাছে আর একটা বিকল্প রয়েছে। সে নেটে বল করলেও ম্যাচে সে রকম বল করেনি। তার নাম যশস্বী জয়সওয়াল। শিবমও আইপিএলে তেমন বল করেনি। কিন্তু নেটে রোজ বোলিং অনুশীলন করেছে। দ্রাবিড়কে প্রথম একাদশ ঠিক করার ক্ষেত্রে অলরাউন্ডারের দিকটা ভাল ভাবে দেখতে হবে।”
পাঠানের মতে, বিরাট, রোহিত ও সূর্য বল করবেন না। ফলে অলরাউন্ডারের সংখ্যা কমে যাচ্ছে ভারতীয় দলে। তিনি বলেন, “হার্দিক যদি ৩-৪ ওভার বল করে তা হলে সমস্যা অনেকটা মিটে যাবে। বিরাট, রোহিত ও সূর্য বল করবে না। তাতে দলে একটা প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছে। যদি এদের মধ্যে কেউ বল করত তা হলে ভাল হত। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডে প্রথম সাত ব্যাটারের মধ্যে অনেকেই বল করতে পারে। ফলে ওদের হাতে বিকল্প অনেক বেশি থাকে। টি-টোয়েন্টিতে যে দলের হাতে বিকল্প যত বেশি, সেই দলের তত সুবিধা।”
পাঠানের সুরেই কথা বলেছেন ভারতের আর এক প্রাক্তন ক্রিকেটার সঞ্জয় মঞ্জরেকর। তিনিও ওই অনুষ্ঠানে বলেন, “ভারতীয় দলে অলরাউন্ডার কম। এটা দলকে দুর্বল করছে। আমার মনে হয় সেই কারণেই শিবমকে নেওয়া হয়েছে। আইপিএলে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম চলে আসায় প্রতিটি দল এক জন অতিরিক্ত প্লেয়ার খেলাতে পারে। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেটা হয় না। আইপিএলের এই নিয়ম ভারতীয় দলকে আরও সমস্যায় ফেলছে। দলে অন্তত তিন থেকে চার জন দরকার, যারা ব্যাট করার পাশাপাশি বল করতে পারে। নইলে বড় দলের বিরুদ্ধে খেলতে সমস্যা হবে।”
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচে হার্দিক ও শিবমকে বেশ কয়েক ওভার হাত ঘোরাতে দেখা গিয়েছে। এই ছবি থেকে পরিষ্কার, দ্রাবিড়-সহ ম্যানেজমেন্ট চাইছে ৬ জুন আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে নামার আগে বিকল্প বোলারদের তৈরি রাখতে।