স্বপ্নপূরণ: পরিবারের সঙ্গে আমেরিকার নতুন তারা সৌরভ। ছবি: এক্স।
জন্ম মুম্বইয়ে। ২০১০ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ ভারতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন, যে দলে ছিলেন কে এল রাহুল, জয়দেব উনাদকাটের মতো ক্রিকেটারেরা। পরে ডাক পেয়েছিলেন মুম্বই রঞ্জি ট্রফি দলেও। কিন্তু নিয়মিত খেলার সুযোগ পাননি।
ক্রিকেট থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে সৌরভ নেত্রভালকর পাড়ি দিয়েছিলেন আমেরিকায়। তখন কে-ই বা কল্পনা করেছিলেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চে তিনি-ই নতুন নায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটাবেন! বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সুপার ওভারে জয়ের পর থেকে রাতারাতি পাল্টে গিয়েছে সৌরভের জীবন।
আমেরিকার এক তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় সৌরভ যোগ দিয়েছিলেন সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে। তবে ক্রিকেট থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারেননি। টিম বাসে আসার সময় পড়াশোনা করতেন। অনুশীলনের ফাঁকে বসে পড়তেন ল্যাপটপ নিয়ে। মাঠের বাইরে ‘উকুলেলে’ (বিশেষ বাদ্যযন্ত্র) নিয়ে গানও করেন। বৃহস্পতিবার জয়ের পর থেকেই সমাজমাধ্যমে জোর চর্চা শুরু হয়েছে সৌরভকে নিয়ে। সকলেই বলছেন, ক্রিকেটার নয়, ইঞ্জিনিয়ারের কাছে হার মেনেছে পাকিস্তান।
শুক্রবার দাদাকে নিয়ে সমাজমাধ্যমে আবেগঘন বার্তা দিয়েছেন বোন নিধি। তিনি লিখেছেন, ‘‘জয়টা ওর কাছে একান্তই ব্যক্তিগত একটা অনুভূতি। গত কয়েক ঘণ্টায় কমপক্ষে ৫০বার সৌরভের নামে জয়ধ্বনি শুনেছি। ওকে নিয়ে সমর্থকদের উল্লাসের পরে নতুন ভাবে অনুভব করছি, কত সুন্দর একটা সংস্কৃতির মধ্যে আমরা বাস করছি।’’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘‘এটা শুধু পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আমেরিকার ঐতিহাসিক জয়-ই নয়, আমাদের এই দীর্ঘ যাত্রায় যে সমস্ত মানুষেরা জড়িয়েছিলেন, তাঁদের কাছেও আমরা কৃতজ্ঞ। প্রতিবেশীদের কাছেও আমরা সমান ভাবে কৃতজ্ঞ।’’
বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ়ে ৩ ম্যাচে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন সৌরভ। যদিও বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে কানাডার বিরুদ্ধে নজর কাড়তে পারেননি তিনি। বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান দিয়ে ২টি উইকেট নিয়ে ঝলসে উঠলেন সৌরভ। সুপারওভারেও দুর্দান্ত বল করেন তিনি। ইফতিকার আহমেদকে আউট করে ম্যাচের রং বদলে দেন।