স্বস্তিকা ঘোষ। ছবি: টুইটার
কমনওয়েলথ গেমসের দলে সুযোগ না পেয়ে এ বার দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ আরও এক টেবল টেনিস খেলোয়াড়। দেশের তৃতীয় টেবল টেনিস খেলোয়াড় হিসেবে আদালতে গেলেন স্বস্তিকা ঘোষ।
স্বস্তিকার বাবা তথা কোচ সন্দীপ ঘোষ জানিয়েছেন, তাঁরা দিল্লি হাই কোর্টে লিখিত আবেদন জমা দিয়েছেন। শুক্রবার শুনানির দিন ধার্য করেছে আদালত। তাঁর দাবি, ‘‘নির্বাচনের মানদণ্ড অনুযায়ী ক্রমতালিকার চার নম্বরে রয়েছে স্বস্তিকা। তাই ওর অবশ্যই দলে থাকা উচিত।’’ উল্লেখ্য, ১৯ বছরের স্বস্তিকার নাম রয়েছে অতিরিক্তের তালিকায়।
আগেই দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন দুই টেবল টেনিস খেলোয়াড় দিয়া চিতালে এবং মানুষ শাহ। কমনওয়েলথ গেমসের জন্য মহিলাদের টেবল টেনিস দলে অর্চনা কামাথের জায়গায় দিয়াকে নেওয়া হলেও পুরুষদের দলে এখনও পরিবর্তন করেননি নির্বাচকরা। টেবিল টেনিস ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া (টিটিএফআই) এখন পরিচালনা করছে আদালত নিযুক্ত প্রশাসক কমিটি। সেই কমিটি শুক্রবার মানুষের আবেদন পর্যালোচনা করবে।
ভারতীয় দল নির্বাচনের মানদণ্ডে পরিবর্তন এনেছে কমিটি। এত দিন ৫০-৩০-২০ সূত্রে খেলোয়াড়দের নির্বাচিত করা হত। দেশের প্রতিযোগিতাগুলির পারফরম্যান্সে ৫০ শতাংশ নম্বর, আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার ফলাফলের উপর ৩০ শতাংশ নম্বর এবং ২০ শতাংশ নম্বর থাকত নির্বাচকদের হাতে। প্রশাসক কমিটি সেই সূত্র পরিবর্তন করে ৪০-৪০-২০ করেছে। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, আগামী বছর থেকে কোনও খেলোয়াড় বিশ্ব ক্রমতালিকায় প্রথম ৩২ জনের মধ্যে থাকলে সরাসরি ভারতীয় দলে নির্বাচিত হবেন। নির্বাচনের পদ্ধতি পরিবর্তন হওয়ায় কিছু কিছু ক্ষেত্রে সংশয় তৈরি হয়েছে।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।