অলিম্পিক্স পদকজয়ী সুশীল কুমারের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে সাগরকে পিটিয়ে মারার। —ফাইল চিত্র
দিল্লির ছত্রসাল স্টেডিয়াম ৫ মে কী ঘটেছিল তার বিবরণ দিলেন সোনু মহাল। সাগর রানার সঙ্গে সেই দিন মার খেয়েছিলেন তিনিও। তবে প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন। আপাতত দিল্লি পুলিশের দেওয়া সুরক্ষার মধ্যে রয়েছেন সনু।
অলিম্পিক্স পদকজয়ী সুশীল কুমারের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে সাগরকে পিটিয়ে মারার। সেই ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দিতে গিয়ে সোনু জানিয়েছেন ৫ মে তাঁকে বীভৎস ভাবে মারে সুশীল। বীরেন্দ্র নামে এক প্রশিক্ষককেও মেরেছিল অলিম্পিক্স পদজয়ী কুস্তিগীর। নাংলইতে একটি আখড়া তৈরি করেছিল বীরেন্দ্র। সেখানে ৫০-৬০ জন কুস্তিগীরকে নিয়ে চলে গিয়েছিলেন সাগর। তাতেই রেগে যান সুশীল।
সোনুর কথা অনুযায়ী ৪ মে সকাল থেকে সাগরের খোঁজ করছিলেন সুশীল। সেই দিন সুশীল এবং নীরজ বাওয়ানা মিলে অমিত এবং রবীন্দ্র নামে ২ কুস্তিগীরকে মারে। তার পর তাঁরা সাগর এবং সোনুর বাড়িতে যায়। সেখানে তাঁদের মারধরের পর ছেড়ে দেন সুশীলরা। হাসপাতালে যেতে হয়েছিল সোনু এবং সাগরকে।
সোনু জানিয়েছেন সাগরের ভগত সিংহ নামক এক সাগরেদকে অপহরণ করেন সুশীল। ভগতের স্ত্রী পুলিশকে জানালে ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে ভগতকে দিয়ে স্ত্রীকে জানাতে বাধ্য করে যে সে ঠিক আছে এবং তাঁকে কেউ অপহরণ করেনি। সারা রাত ভগতকে মারধর করেন সুশীলরা। ভগতের স্ত্রীর সন্দেহ দূর না হওয়ায় ফের পুলিশের কাছে যান তিনি। ভগতকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হন সুশীলরা।
সাগর রানা সেই দিন মারা গেলেও বেঁচে গিয়েছিলেন সোনু। তবে তাঁর হাত ভেঙে গিয়েছে। সমস্ত সাক্ষী এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করেছে দিল্লি পুলিশ।