দশ বছর বয়সেই ঠিক করে নিয়েছিলেন বড় হয়ে খেলোয়াড় হবেন। স্কুলে পড়ার সময় জাতীয় স্তরে ক্রিকেট এবং রাজ্যস্তরে বাস্কেটবল খেলতেন। এখন তিনি প্রফেশনাল গল্ফার। সুপারস্টার দিদির বৃত্তের বাইরে নিজের পরিচয় গড়ে তুলেছেন অনীশা।
১৯৯১ সালের ২ ফেব্রুয়ারি অনীশার জন্ম বেঙ্গালুরুতে। বাবা বিশ্বখ্যাত শাটলার, মা ট্র্যাভেল এজেন্ট। পাঁচ বছরের বড় দিদি বরাবরই গ্ল্যামারাস। অনীশা বেছে নিয়েছিলেন বাবার দেখানো পথকেই। তবে বাবার এবং তাঁর বিচরণক্ষেত্র আলাদা।
কেরিয়ার বেছে নেওয়ার ব্যাপারে অনীশা এবং তাঁর দিদি দু’জনেই বাবা মায়ের সমর্থন পেয়েছেন। কোনও দিনই তাঁদের উপর কিছু চাপিয়ে দেওয়া হয়নি। কেরিয়ার তৈরি করার সময় অনীশা পূর্ণ সমর্থন পেয়েছেন তাঁর নায়িকা দিদিরও।
বেঙ্গালুরুর সোফিয়া হাই স্কুলের পরে মাউন্ট কারমেল কলেজে থেকে পড়াশোনা করেন অনীশা। গল্ফের আন্তর্জাতিক মঞ্চে তিনি তুলে ধরেছেন দেশকে। ভারতের প্রথম সারির মহিলা গল্ফারদের মধ্যে অনীশা অন্যতম। তবে তাঁর আদর্শ খেলোয়াড় সাইনা নেহওয়াল।
খেলাধূলার পাশাপাশি অনীশা ভালবাসেন কেনাকাটা করতে, বেড়াতে যেতে, গান শুনতে এবং সিনেমা দেখতে। একই সঙ্গে তিনি তাঁর দিদির ছবির মুগ্ধ দর্শক এবং কড়া সমালোচকও। তাঁর প্রিয় ভারতীয় অভিনেতার মধ্যে আছেন দিদির প্রাক্তন প্রেমিক, রণবীর কপূরও।
তবে দিদি দীপিকা, জিজু রণবীর সিংহের সঙ্গে অনীশার সম্পর্ক বন্ধুর মতো। অনীশা বলেন, দিদি দীপিকা তাঁর কাছে মায়ের মতো। আবার দীপিকা জানিয়েছিলেন, জীবনে যখন অবসাদের শিকার হয়ে পড়েছিলেন, তখন সবথেকে সাহায্য পেয়েছিলেন বোনের কাছে থেকেই।
অবসাদের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে দীপিকা একটি সংস্থা শুরু করেছেন। সেখানে দুই বোন এক সঙ্গে কাজ করেন। সেই সংস্থা চেষ্টা করে অবসাদের শিকার মানুষকে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরিয়ে আনতে।
প্রাক্তন বিশ্বখ্যাত ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় প্রকাশ পাড়ুকোন ও ট্র্যাভেল এজেন্ট উজ্জ্বলা পাড়ুকোনের মেয়ে এবং দীপিকা পাড়ুকোনের বোন হয়েও অনীশা খুব একটা প্রচারে থাকতে পছন্দ করেন না। বরং, ভালবাসেন নিজের ব্যক্তিগত পরিসরকে একটু আড়ালের ঘেরাটোপে রাখতেই।
অভিনয় নিয়ে অনীশার কোনও আগ্রহ নেই। নেই গ্ল্যামারবৃত্তে আসার পরিকল্পনাও। তিনি খুশি নিজের পরিচয় নিয়েই। বাবার পরে তিনিও পরিবারে বজায় রাখলেন খেলাধূলার ধারা।
গল্ফার অনীশা পছন্দ করেন গাড়ি চালাতেও। ড্রাইভিং শেখার পরে তিনি প্রথমে মায়ের গাড়ি চালাতেন। এরপর নিজের নতুন গাড়ি কেনেন। ভালবাসেন বেঙ্গালুরুর পথে গাড়ি চালাতে। যানজটে পড়লে প্রিয় গান শোনেন। যাতে যানজটেও মেজাজ ঠিক থাকে।
আপাতত নিজের জীবন উপভোগ করছেন অনীশা। কবে বিয়ে করবেন, বা কারও সঙ্গে সম্পর্ক আছে কিনা, কিছু জানা যায় না। ব্যক্তিগত পরিসরকে নেটিজেনদের অগোচরেই রেখেছেন তিনি।