ওপেন করতে নামছেন গাওস্কর-শ্রীকান্ত। —ফাইল চিত্র।
তোমার চেয়ে আগে পঞ্চাশে পৌঁছব! কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্তকে বলেছিলেন সুনীল গাওস্কর। আর সেই কথা রেখেওছিলেন তিনি। সেই গল্পই শোনালেন শ্রীকান্ত।
আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের জন্যই পরিচিত শ্রীকান্ত। অন্য দিকে, গাওস্করের ব্যাটিং ঘরানা অন্যরকম। কিছুতেই উইকেট উপহার দেবেন না, তাঁর মন্ত্র এটাই। ফলে অযথা ঝুঁকি নিতেন না। এ দিকে, শ্রীকান্ত চালিয়ে খেলতেন। ফলে, আগে তিনিই পৌঁছতেন পঞ্চাশে। কিন্তু অন্যরকম এক ঘটনাও ঘটেছিল। যা উঠে এল শ্রীকান্তের মুখে।
গাওস্করের সঙ্গে ওপেনিং নিয়ে এক টিভি চ্যানেলে কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্ত বলেছেন, “আমি এক গ্রেট লিডার, সুনীল গাওস্করের নেতৃত্বে খেলেছি। আর তাঁর সঙ্গে ওপেনিংও করেছি। এটা উপরওয়ালার আশীর্বাদ, অন্য কিছু নয়।”
আরও পড়ুন: আইপিএলের টাকা সৌরভ বা জয় শাহের কাছে যায় না, তীব্র আক্রমণে বোর্ডের কোষাধ্যক্ষ
আরও পড়ুন: হারলেই দয়া ভিক্ষা চাইত ভারত, বিতর্কিত মন্তব্য শাহিদ আফ্রিদির
গাওস্করের চ্যালেঞ্জ করে পঞ্চাশের ঘটনা নিয়ে শ্রীকান্ত বলেন, “আমার একটা ফেভারিট মুহূর্ত হল ১৯৮৭ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মাদ্রাজ টেস্টের। এটা ছিল গাওস্করের শেষ টেস্ট সিরিজ। গাওস্কর আমাকে প্রায়ই বলতেন, ‘চিকা! এক দিন আমি নিশ্চিত ভাবেই তোমার চেয়ে দ্রুত হাফ-সেঞ্চুরি করব। আর তা করব একই ম্যাচে।’ শেষ পর্যন্ত ওই মাদ্রাজ টেস্টে সুনীল সেটাই করল। সেই ম্যাচে আমি সেঞ্চুরি করেছিলাম। কিন্তু আমাদের মধ্যে প্রথমে পঞ্চাশে পৌঁছেছিল ওই। আমি এক বল পরে অর্ধশতরানে পৌঁছেছিলাম। বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না যে সুনীল সত্যিই এটা করে ফেলল। আর সেটাও করেছিল চেন্নাইয়ে। সেই ম্যাচে দুর্দান্ত ব্যাট করেছিল। থেমেছিল ৯১ রানে।”
সেই মাদ্রাজ টেস্টে গাওস্কর ও শ্রীকান্তের জুটিতে উঠেছিল দু’শোর বেশি রান। শ্রীকান্ত ১৪৯ বলে করেছিলেন ১২৩। গাওস্কর থেমেছিলেন ৯১ রানে। সেই টেস্ট ড্র হয়েছিল। গাওস্কর ও শ্রীকান্ত টেস্ট ও এক দিনের ম্যাচে মোট ৫৫ ইনিংস একসঙ্গে ওপেন করেছিলেন। ৩০.৫৪ গড়ে দু’জনের জুটিতে উঠেছিল ১৬৮০ রান।