লক্ষ্য: অষ্টমবার দেশকে সাফ জেতাতে মরিয়া সুনীল। ছবি: টুইটার
ভারতের হয়ে ৭৯টি গোল করে চব্বিশ ঘণ্টা আগেই পেলেকে পিছনে ফেলে দিয়েছেন সুনীল ছেত্রী। কিন্তু ভারত অধিনায়কের পাখির চোখ এই মুহূর্তে নেপালকে হারিয়ে অষ্টম বার দেশকে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জেতানো। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মলদ্বীপ থেকে ভিডিয়ো কলে সংবাদমাধ্যমের নানা প্রশ্নের উত্তর দিলেন তিনি।
নজির গড়ার অনুভূতি: আমার দুর্ভাগ্য যে পেলের খেলার ভিডিয়ো আমার কাছে খুব বেশি নেই। যতটুকু দেখেছি, তাতেই বুঝেছি যে পেলে ভয়ঙ্কর ফুটবলার ছিলেন। সেই সময় ফুটবল অনেক বেশি কঠিন ছিল। এত কড়াকড়ি ছিল না। শারীরিক ফুটবল বেশি হত। অবিশ্বাস্য প্রতিভাবান ছিলেন বলেই সাফল্যের শিখরে পৌঁছতে পেরেছিলেন পেলে। তবে ফুটবল সম্রাটকে পিছনে ফেলে দেওয়া নিয়ে আলাদা কোনও অনুভূতি নেই। আমি খুশি, গোল করতে পেরেছি বলে।
লড়াই রোনাল্ডো ও মেসির সঙ্গে: এই দুই মহাতারকার সঙ্গে তুলনা করার কোনও অর্থই নেই। দেশের হয়ে গোল করতে আমি সব সময়ই ভালবাসি। এটাই করে যেতে যাই।
প্রত্যাশাপূরণের চাপ: চেষ্টা করি এই ব্যাপারটা নিয়ে না ভাবতে। এই ধরনের আলোচনা থেকে দূরে থাকতেই ভালবাসি। আমার কাজ গোল করা। কখনও সফল নই। কখনও আবার সহজ গোলের সুযোগ নষ্ট করি। আমি শিখেছি, যদি নিয়মিত গোল না করতে পারি। এবং আমাকে নিয়ে কী আলোচনা চলছে তাতে মনোনিবেশ করি, তা হলে কখনওই সফল হতে পারব না। আমার লক্ষ্যই হল, প্রত্যেক দিন উন্নতির চেষ্টা করা। তাই ব্যর্থ হলেও থেমে যাই না।
সাফল্যের মন্ত্র: নিজেকে বলি, সময় বেশি নেই তোমার হাতে। কান্নাকাটি বন্ধ করো। আগে কী করেছো মনে থেকে মুছে ফেলে নিঃশব্দে নিজের কাজটা করো। নিজের সেরাটা দাও। আমি কখনও আক্ষেপ করতে চাই না।
ভবিষ্যতের পরিকল্পনা: একাধিক। প্রথম লক্ষ্য এশিয়ান কাপের মূল পর্বে যোগ্যতা অর্জন করা। এশিয়ার সেরা দলগুলির সঙ্গে খেলা। তবে আমার ফুটবলজীবন হয়তো খুব দীর্ঘ হবে না। তার মানে এই নয় যে, কয়েক বছরের মধ্যেই অবসর নেব।
নেপালকে সমীহ: এই প্রতিযোগিতার সেরা দল নেপাল। হয়তো আলি আসফাকের মতো একাই ম্যাচের রং বদলে দেওয়ার দক্ষতাসম্পন্ন ফুটবলার ওদের নেই। রক্ষণ থেকে আক্রমণ— নেপাল একটা দল হিসেবে খেলে।
সুনীলের উত্তরসূরি: আরও একটা সুনীল ছেত্রী তুলে আনা কখনওই যথেষ্ট নয় বলে মনে করি। ভারতীয় ফুটবল নিয়ে আমরা যে স্বপ্ন দেখছি, তাতে আমার চেয়েও ভাল মানের ফুটবলার তুলে আনতে হবে। তা না হলে উন্নতি সম্ভব নয়।