সহজাত মেজাজে সৌরভ। ছবি ফেসবুক থেকে নেওয়া।
ভারতীয় দলকে পাল্টে দেওয়ার অনুঘটক হলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। বললেন ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার ডেভিড লয়েড। তাঁর মতে, সৌরভের স্পর্শে রূপান্তরিত ভারতীয় দলকেই পরের পর্যায়ে তুলে নিয়ে গিয়েছিলেন নির্ভীক বিরাট কোহালি।
২০০১ সালে অস্ট্রেলিয়াকে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজে ২-১ হারিয়েছিল সৌরভের ভারত। তার পর অস্ট্রেলিয়ায় এসে টেস্ট সিরিজ ১-১ ড্র করার মাধ্যমে ধরে রেখেছিল বর্ডার-গাওস্কর ট্রফি। এক টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠানে এসে ৭৩ বছর বয়সি লয়েড বলেছেন, “আমি সৌরভের বিশাল বড় ফ্যান। সৌরভ দলকে ইস্পাতকঠিন বিশ্বাস এনে দিয়েছিল যে, আমরা পেসারদের ভয়ে ভীত থাকব না। বরং আমরা নিজস্ব ক্রিকেটারদের বের করে আনব। আগে সব সময়ই ভাবা হত যে, বিদেশে বাউন্সি পিচ পছন্দ করে না ভারতীয়রা। সৌরভ কিন্তু অস্ট্রেলিয়া গিয়েছিল বাউন্সি বলের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে। আর ঘরের মাঠে ভারত বরাবরই শক্তিশালী। কিন্তু বিদেশে ভারতকে হারানোর সম্ভাবনা দেখত সব বিপক্ষই। সৌরভই অনুঘটক হয়ে পাল্টেছে তা। আর রাহুল দ্রাবিড়, সচিন তেন্ডুলকর তো ছিলই।”
আরও পড়ুন: ‘ভারতীয় দলে যদি একটা বেন স্টোকস থাকত...’
আরও পড়ুন: ‘কাঁধে বল লাগলেও সে দিন সচিনকে আউট দিয়ে কোনও ভুল করিনি’
বিদেশে ১১ টেস্ট জিতেছেন সৌরভ। মোট ৪৯ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে জিতেছেন ২১ টেস্ট। নেতা সৌরভকে নিয়ে ডেভিড লয়েডের বিশ্লেষণ, “যদি দলে যোগ্য স্পিনার থাকে, কয়েক জন ভাল পেসার থাকে, তবে শুধু ভারতেই নয়, বিশ্ব জুড়েই লড়াইয়ের ক্ষমতা এসে যায়। ভারতীয় ক্রিকেটে সৌরভের অবদান বিশাল। বিশ্ব জুড়ে ভারত যে শক্তি হয়ে উঠেছে, এর নেপথ্যে সৌরভই অনুঘটক।”
বর্তমান ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহালিরও প্রশংসা শোনা গিয়েছে ডেভিড লয়েডের মুখে। তিনি বলেছেন, “ক্রিকেটার হিসেবে শ্রেষ্ঠত্ব বাদ দিয়েও কোহালি গ্রেট লিডার। ও ফাইটার। কোনও কিছুতে ভয় পায় না। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। নির্ভীক থাকা। আমার মনে হয় কোহালি থাকা মানেই জেতার জন্য লড়ে যাওয়া। ও নিজের রান নিয়ে ভাবে না। নিজে উদাহরণ হয়ে উঠতে চায়।”