এখনও পর্যন্ত দুটো একদিনের আন্তর্জাতিকে খেলেছেন শুভমন। ছবি ফেসবুক থেকে নেওয়া।
বড় বিতর্কে জড়ালেন শুভমন গিল। শুক্রবার মোহালিতে রঞ্জি ট্রফিতে পঞ্জাব বনাম দিল্লি ম্যাচে আউট হওয়ার পরও ক্রিজে দাঁড়িয়ে থাকলেন ২০ বছর বয়সি। এমনকী, আম্পায়ারের সঙ্গে দুর্ব্যবহারও করেন। শেষ পর্যন্ত আম্পায়র তাঁর আউটের সিদ্ধান্ত ফিরিয়ে নেন!
টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পঞ্জাব। মিডিয়াম পেসার সুবোধ ভাটির বলে ওপেনার শুভমনকে কট-বিহাইন্ড আউট দেওয়া হয়েছিল। তখন ১০ রানে ব্যাটিং করছিলেন শুভমন। কিন্তু আউট হওয়া সত্ত্বেও মাঠ ছেড়ে বেরোতে অস্বীকার করেন তিনি। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, তিনি আম্পায়ারের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। আম্পায়ার তখন নিজের সিদ্ধান্ত পাল্টে নেন।
এর পর বেঁকে বসে দিল্লি শিবির। আম্পায়ারের আউটের সিদ্ধান্ত ফিরিয়ে নেওয়ার প্রতিবাদে মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে আসেন দিল্লির সব ক্রিকেটার। দিল্লির নীতিশ রানা অভিযোগ করেন, আম্পায়ারকে অপমান করেছেন শুভমন। প্রায় মিনিট দশেক বন্ধ থাকে ম্যাচ। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ রেফারি পি রঙ্গনাথনের হস্তক্ষেপে খেলা চালু হয়।
শুভমন যদিও বেশিক্ষণ থাকেননি। ৪১ বলে ২৩ রান করে সিমনজিৎ সিংহের বলে আউট হন। এই মুহূর্তে সাদা বলের ক্রিকেটে ভারতের এ দলের অধিনায়ক তিনি। নিউজিল্যান্ডে তাঁর নেতৃত্বেই ভারত এ দল তিনটি একদিনের ম্যাচ খেলবে। সেই সফরে দুটো চারদিনের ম্যাচের স্কোয়াডেও রয়েছেন শুভমন। এখনও পর্যন্ত ভারতের সিনিয়র দলের হয়ে দুটো ওয়ানডে খেলেছেন তিনি। রান করেছেন ১৬।
দিল্লি দলের ম্যানেজার বিবেক খুরানা সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, “আম্পায়ার মহম্মদ রফি আউট দিয়েছিলেন শুভমনকে। ও তখন সোজা আম্পায়ারের কাছে চলে যায়। এবং তর্ক করতে থাকে। সিদ্ধান্ত ফিরিয়ে নেওয়ার দাবি তোলে। তখন স্কোয়ার-লেগ আম্পায়ারের (পশ্চিম পাঠক) সঙ্গে আলোচনা করেন আম্পায়ার (মহম্মদ রফি)। এবং আউটের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।” কিন্তু দিল্লি কি ওয়াকআউট করার কথা ভেবেছিল? খুরানা বলেছেন, “নীতিশ রানা শুধু আম্পায়ারদের জিজ্ঞাসা করেছিল যে কেন আগের সিদ্ধান্ত পাল্টে দেওয়া হল। আমরা কখনই ওয়াকআউট করিনি। ম্যাচ রেফারি এসে কথা বলার পর স্বাভাবিক ভাবেই শুরু হয় ম্যাচ।” দিল্লি ক্রিকেট সংস্থার সচিব বিনোদ তিহারা বলেছেন, “সাত কি আট মিনিট বন্ধ ছিল খেলা। আমাদের ক্রিকেটাররা ভেবেছিল যে গিল আউট ছিল। তার জন্যই কেন আউটের সিদ্ধান্ত বহাল থাকল না, ওরা সেটাই জিজ্ঞাসা করেছিল।”