East Bengal

লাল-হলুদে ফের চুক্তিপত্র পাঠাল শ্রী সিমেন্ট, কিন্তু দূরত্ব কি মিটবে

চুক্তিপত্রে যে সব বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে সেটা নিয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা করার পরেই পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে চাইছে ক্লাব।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০২১ ২২:৩৬
Share:

শ্রী সিমেন্ট ও ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের মধ্যে চুক্তি জট কি আদৌ খুলবে? ফাইল চিত্র

চূড়ান্ত চুক্তির জট খুলতে উদ্যোগী হল ইস্টবেঙ্গলের লগ্নিকারী শ্রী সিমেন্ট। সেই জন্য বুধবার প্রত্যাশামতোই লাল-হলুদ কর্তাদের চিঠির সঙ্গে ফের একবার চুক্তিপত্র পাঠাল হরিমোহন বাঙ্গুরের সংস্থা। তবে এই চিঠির আদান প্রদান নিয়ে দুই পক্ষ আপাতত মুখে কুলুপ এঁটেছে। চুক্তিপত্রে যে সব বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে সেটা নিয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা করার পরেই পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে চাইছে ক্লাব। প্রসঙ্গত গত অক্টোবরে ক্লাবের উদ্দেশে একই রকম চুক্তিপত্র পাঠিয়েছিল শ্রী সিমেন্ট। যদিও সেই চিঠির জবাব এখনও বাঙ্গুর গোষ্ঠীর কাছে আসেনি।

Advertisement

এই চিঠিতে কোনও সময়সীমা বেঁধে না দেওয়া হলেও খুব দ্রুত ক্লাবের উত্তর জানতে চেয়েছে বাঙ্গুর গোষ্ঠী। একই সঙ্গে এটাও উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে এই চিঠির উত্তর যেন বিনিয়োগকারীদের হাতেই আসে। তবে এর পাশাপাশি আরও একটা বিষয় স্পষ্ট করে দিয়েছে লগ্নিকারী সংস্থা। ক্লাবকে পাঠানো চিঠির সন্তোষজনক উত্তর না এলে শ্রী সিমেন্টের কর্তারা এক টেবিলে আলোচনায় বসবেন না। পাশাপাশি কোন কোন বিষয় নিয়ে ক্লাবের আপত্তি রয়েছে সেটাও পাল্টা চিঠির মাধ্যমেই জানতে চেয়েছে হরিমোহন বাঙ্গুরের সংস্থা।

বিনিয়োগকারীদের তরফ থেকে চিঠি ও চুক্তিপত্র যে লাল-হলুদে এসেছে সেটা ক্লাবের তরফ থেকে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্তা বলেন, “আমরা চিঠি পেয়েছি। বৃহস্পতিবার আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে তারপর এই বিষয় নিয়ে মন্তব্য করব।”

Advertisement

গত ১ সেপ্টেম্বর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে প্রাথমিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করলেও, আইএসএল শুরু হওয়ার আগে থেকে একাধিক বিষয় নিয়ে আপত্তি জানাতে শুরু করেন লাল-হলুদ কর্তারা। দাবি করেন, তাঁদের সুপারিশ করা বিষয়গুলি পরিবর্তন করতে হবে। তার পরেই চূড়ান্ত চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন। যদিও বিনিয়োগকারী সংস্থার তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর সামনে স্বাক্ষরিত হওয়া চুক্তিকেই মান্যতা দিতে হবে। অনেকেই আশা করেছিলেন, হরিমোহন বাঙুর দুবাই থেকে কলকাতায় আসার পরেই সমস্যার সমাধান হবে। তবে চূড়ান্ত চুক্তি সই না হওয়া পর্যন্ত তিনি ক্লাব কর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি নন।

কয়েক দিন আগে ক্লাবের একটি অনুষ্ঠানে বিনিয়োগকারীদের সম্পর্কে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন কর্তা দেবব্রত সরকার। যদিও একই সঙ্গে দুই পক্ষ মনে করছে সব বিবাদ ভুলে ফের নতুন ভাবে পথচলা শুরু হবে। কিন্তু এরই মধ্যে রয়েছে বিচ্ছেদের আশঙ্কাও। বুধবার পাঠানো চুক্তিপত্রে ক্লাব সন্তুষ্ট না হলে সমস্যা আরও জটিল হবে। সেটা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই। তাই দুই পক্ষই ঘন ঘন আইনজীবীদের পরামর্শ নিচ্ছে।

এখন ফুটবলের স্বার্থে কোন পক্ষ বাড়তি সদর্থক ভূমিকা নেয় সেটাই দেখার। কারণ মাঠের বাইরের খেলায় ফুটবল ও ফুটবলারদের ভবিষ্যৎ যে অন্ধকারে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement