—প্রতীকী চিত্র।
অনুশীলন করার সময় দুর্ঘটনা। বাঁ হাতের বুড়ো আঙুল উড়ে গেল বিমানবাহিনীর এক শুটারের। ঘটনাটি দিল্লির কার্নি সিংহ রেঞ্জের। জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন পুষ্পেন্দ্র কুমার নামে ওই শুটার।
শনিবার বিকালে ভূপালে আয়োজিত জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য অনুশীলন করছিলেন পুষ্পেন্দ্র। কয়েক দিনের মধ্যেই তাঁর ভূপাল যাওয়ার কথা ছিল। তাঁর ইভেন্ট ১০ মিটার এয়ার পিস্তল। অনুশীলনের ফাঁকে পিস্তলের সিলিন্ডারে গ্যাস ভরছিলেন পুষ্পেন্দ্র। সে সময় হঠাৎই পিস্তলের সিলিন্ডারে বিস্ফোরণ ঘটে। তার অভিঘাতে পুষ্পেন্দ্রর বাঁ হাতের বুড়ো আঙুল উড়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। পরে চিকিৎসার জন্য তাঁকে ভর্তি করানো হয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর আর অ্যান্ড আর হাসপাতালে। পুষ্পেন্দ্র পেশায় বিমানবাহিনীর কর্পোরাল।
দুর্ঘটনার সময় কাছেই থাকা এক শুটিং কোচ বলেছেন, ‘‘মূল সিলিন্ডার থেকে পিস্তলের সিলিন্ডারে গ্যাস ভরছিল পুষ্পেন্দ্র। সম্ভবত পিস্তলের সিলিন্ডারে গ্যাসের চাপ বেশি হয়ে যায়। তা থেকেই দুর্ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে। ভাগ্য ভাল ওর হাতের তেমন কোনও ক্ষতি হয়নি। তাই শুটিং চালিয়ে যেতে ওর কোনও সমস্যা হবে না।’’ তাঁর আশা, চোট গুরুতর হলেও অস্ত্রোপচারের সাহায্যে পুষ্পেন্দ্রর আঙুল ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ স্বাভাবিক করে দেওয়া সম্ভব হবে।
একটা সময় পর্যন্ত এয়ার পিস্তলের সিলিন্ডারে কার্বনডাই অক্সাইড ব্যবহার করা হত। প্রযুক্তিগত উন্নতির ফলে এখন ব্যবহার করা হয় এলপিজি। নির্দিষ্ট সময় অন্তর পিস্তলের সিলিন্ডার পরিবর্তন করতে হয়। তার জন্য অবশ্য শুটারদের বাড়তি খরচ বহন করতে হয় না। পিস্তল নির্মাণকারী সংস্থাই নির্দিষ্ট সময় অন্তর বিনামূল্যে পিস্তলের সিলিন্ডার বদল করে দেয়।
এয়ার পিস্তলের সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা তেমন শোনা না গেলেও অত্যন্ত বিরলও নয়। মূলত অসাবধানতার জন্যই এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। তবে পিস্তলের প্রযুক্তিগত সমস্যার জন্যও দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।