শার্দূল এখন ব্যাট হাতেও ম্যাচ জেতাচ্ছেন ভারতকে। —ফাইল চিত্র
পেসার শার্দূল ঠাকুর এখন ব্যাট হাতেও ম্যাচ জেতাচ্ছেন ভারতকে। ওভালে দুই ইনিংসেই অর্ধ শতরান করে ম্যাচের সেরা হওয়ারও দাবিদার ছিলেন তিনি। ২৯ বছরের এই পেসারের জীবনটাই পাল্টে দিয়েছিল একটা চোট।
এক সর্বভারতীয় ইংরেজি সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শার্দূল বলেন, “দু’ বছর আগে আমার গোড়ালিতে চোট লাগে। সেই সময়ই ঠিক করি ব্যাটিংয়েও উন্নতি করতে হবে। ব্যাট করার ক্ষমতা আমার ছিল। লোয়ার অর্ডারে দলকে সাহায্য করার চেষ্টা করি। ভারতীয় দলে যখন ফিরে আসি, তখন থ্রো ডাউন বিশেষজ্ঞ রঘু এবং নুয়ান আমাকে অনুশীলন করাত। প্রথম দিকে ওদের বিরুদ্ধে ব্যাট করতে পারতাম না। ফুটওয়ার্ক ঠিক করার চেষ্টা করতাম। ধীরে ধীরে আমার ব্যাটিংয়ে উন্নতি হল।”
এখনও অবধি চারটি টেস্ট খেলে তিনটি অর্ধ শতরান করেছেন শার্দূল। তিনি বলেন, “যা রান করেছি সবই একটা পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে এসেছে। ভাগ্যের জোরে রান করিনি।” ব্যাট করার জন্য ভারতীয় দলে শার্দূলকে অনুপ্রেরণা দেন কোহলীরা। শার্দূল বলেন, “বিরাট কোহলী, রোহিত শর্মারা আমাকে অনুপ্রেরণা দেয় ব্যাট করার জন্য। ওরা বলেছে ব্যাট করার সময় ব্যাটসম্যানদের মতো ভাবতে। এক বার মাহি ভাইয়ের (মহেন্দ্র সিংহ ধোনি) ঘরে ওর ব্যাটটা হাতে নিয়েছিলাম। ও বলল খুব উপরে ধরেছি। ঠিক মতো শট মারতে হলে নীচের দিকে ধরতে হবে। এখন আমি সেই ভাবেই ব্যাট ধরি।”
ব্যাট করার সময় খুব বেশি ভাবেন না শার্দূল। সেটাই আত্মবিশ্বাস দেয় তাঁকে। শার্দূল বলেন, “ব্যাট করতে নেমে খুব বেশি ভাবি না। আমার ছোটবেলার কোচ দীনেশ লাড বলেছিলেন খুব বেশি ভাবলে ব্যাট করা কঠিন হয়ে যায়। শেষ পাঁচ বছর ধরে আমি ব্যাটিংটা সহজ ভাবে করার চেষ্টা করেছি। স্ট্রেট ব্যাটে খেলার চেষ্টা করছি।”
ওভালে শার্দূল ব্যাট করতে নামার সময় ছয় উইকেট হারিয়ে ফেলেছে ভারত। সেই সময় কী ভাবে নিজেকে সামলেছিলেন, সেটিও জানিয়েছেন তিনি। শার্দূল বলেন, “পরিস্থিতি যে কঠিন তা জানতাম। ম্যাচের অবস্থাটা বোঝার চেষ্টা করছিলাম। কোথায় কোন ফিল্ডারকে রাখা হয়েছে সেটাও বোঝার চেষ্টা করছিলাম। আমাকে যদি ক্রিজে টিকে থাকতে হয় সেটাও করার জন্য প্রস্তুত ছিলাম। প্রথম ইনিংসে ব্যাট করার সময় ঋষভ পন্থ ক্রিজে যত ক্ষণ ছিল তত ক্ষণ শট খেলিনি। পন্থ আউট হতে নিজেকে বলি রান গুরুত্বপূর্ণ। আক্রমণই তখন সেরা অস্ত্র মনে হল। সেটাই করেছিলাম।”