—ফাইল চিত্র
মানসিক যন্ত্রণা কমছে না। ফের কাঁদলেন সিমোনে বাইলস। আমেরিকার জিমন্যাস্টদের যৌন নির্যাতনের যে অভিযোগ উঠেছে, সেটি নিয়ে আদালতে সাক্ষ্য দিতে গিয়েছিলেন চার বারের অলিম্পিক্স চ্যাম্পিয়ন বাইলস। সেখানে আর নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি। বাইলস বলেন, আমেরিকার জিমন্যাস্টিক্স সংস্থা, অলিম্পিক্স ও প্যারালিম্পিক্স সংস্থা এবং তদন্তকারী সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) নিজেদের ভূমিকা ঠিক মতো পালন করেনি। তার জন্যই জিমন্যাস্টদের উপর যৌন নির্যাতনের ঘটনা বেড়েছে। বিশেষ করে এফবিআই চোখ বন্ধ করেছিল বলে মন্তব্য করেন বাইলস।
বুধবার সেনেট জুডিসিয়ারি কমিটির সামনে উপস্থিত হয়েছিলেন বাইলস। সঙ্গে ছিলেন আরও তিন সতীর্থ অ্যালি রাইসম্যান, ম্যাকালা মারোনি এবং ম্যাগি নিকোলস। আমেরিকার মহিলা জিমন্যাস্টিক্স দলের প্রাক্তন চিকিৎসক ল্যারি নাসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, ১৮ বছর ধরে তিনি দেশের মহিলা জিমন্যাস্টদের যৌন নিগ্রহ করেছেন। সেই মামলার সাক্ষ্য দিতে গিয়েছিলেন বাইলস।
তিনি আদালতে বলেন, ‘‘সত্যি কথা বলতে ল্যারি নাসারকে যেমন আমি দোষ দিচ্ছি, একই ভাবে দোষ দিচ্ছি আমাদের গোটা ব্যবস্থাটাকে। তার জন্যই নাসার দিনের পর দিন এই কুকর্ম করে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। আমাদের জিমন্যাস্টিক্স এবং অলিম্পিক্স, প্যারালিম্পিক্স সংস্থা নিজেদের কাজ ঠিক মতো করেনি। এফবিআই অন্ধের মতো বসেছিল। তারা ঠিক মতো দায়িত্ব পালন করলে এত দিন ধরে একই অপরাধ ঘটত না।’’
বিচার বিভাগের পরিদর্শক মাইকেল হরোউইচ জুলাই মাসে এফবিআই-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন, তাদের ভুল তদন্তের জন্য কয়েক মাস ধরে যৌন নির্যাতন চলেছে। সেনেটর রিচার্ড ব্লুমেন্থাল বলেন, “এফবিআই শুধু যে নিজেদের কাজে ব্যর্থ হয়েছে তাই নয়, তারা বার বার ব্যর্থ হয়েছে। ভুল ঢাকার চেষ্টা করেছে। ভুল তথ্যও দিয়েছে এফবিআই।”
যৌন নির্যাতন নিয়ে ২০১৫ সাল থেকে তদন্ত শুরু হয়। আমেরিকার জিমন্যাস্টিক্স প্রধান স্টিফেন পেনি এফবিআই-এর কাছে অভিযোগ করেন। প্রায় এক মাস পর মাত্র একজনকে জেরা করে এফবিআই। সেই জেরাও ঠিক মতো করা হয়নি বলে অভিযোগ।