ভারতের মাটিতে এখনও অবধি ২টি গোলাপি বলের টেস্ট খেলা হয়েছে। ছবি: টুইটার থেকে
বলের ওপর বাড়তি বার্নিশের আস্তরণ। তাতেই তফাৎ ঘটে যাচ্ছে লাল এবং গোলাপি বলের? জো রুটের মতে স্পিনারদের বল অনেক দ্রুত ব্যাটে আসছে দিন রাতের টেস্টে। এসজি সংস্থা আরও বেশি পরীক্ষা করতে চাইছে গোলাপি বল নিয়ে।
ভারতের মাটিতে এখনও অবধি ২টি গোলাপি বলের টেস্ট খেলা হয়েছে। ভারতে টেস্টের লাল বল তৈরি করে এসজি সংস্থা। তারাই তৈরি করেছে গোলাপি বল। ২০১৯ সালে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম গোলাপি বলের টেস্ট খেলেন বিরাট কোহালিরা। সেই ম্যাচ শেষ হয়ে গিয়েছিল আড়াই দিনে। মোতেরায় ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট শেষ হয় ২ দিনে। ভারতীয় দলের অনেকেই এই বল পছন্দ করছেন না বলে জানা গিয়েছে। গোলাপি বলের ভবিষ্যৎ কি তবে অন্ধকার?
ভারতীয় বোর্ড যদিও বলছে, “গোলাপি বলে খেলা হবেই। টেস্ট ক্রিকেটে দর্শক টানতে গোলাপি বলের ভূমিকা বড় হতে চলেছে।” রবিচন্দ্রন অশ্বিন বলেন, “গোলাপি বলে খেলতে আমাদের কোনও অসুবিধা নেই। লাল বলে খেলতে আমরা অভ্যস্ত। হঠাৎ গোলাপি বল চলে আসায় খেলাটাই পাল্টে গিয়েছে। আমরা এখনও মানিয়ে নিতে পারিনি বলে অসুবিধা হচ্ছে।”
ইডেনে গোলাপি বলের টেস্টে পিচে ঘাস ছিল প্রায় ৬ মিলিমিটার। নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে যদিও সেই সবের চিহ্নই ছিল না। ২ টেস্টেই দাপট দেখিয়েছিলেন বোলাররাই। কলকাতায় ২৮টির মধ্যে ২৭টি উইকেট নিয়েছিলেন পেসাররা। মোতেরায় ৩০টি উইকেটের মধ্যে ২৮টিই নেন স্পিনাররা।
ইংল্যান্ডের অধিনায়ক রুট বলেন, “বাড়তি আস্তরণ, বেশি শক্ত গোলাপি বল, লাল এসজি বলের থেকে অনেক দ্রুত। সেলাইয়ের ওপর না পড়লেও গতি থাকে বলে।” অশ্বিন বলে, “সেলাইয়ের দিক পিচে পড়লেও স্পিন করছিল বল।”
এসজি সংস্থার বিপণন শাখার প্রধান পরস আনন্দ বলেন, “২০-২৫ ওভার অবধি বলে চকচকে ভাব থাকে। তারপর যে কোনও পুরনো বলের মতোই আচরণ করে গোলাপি বল। পিচে ঘাস থাকা বাঞ্ছনীয় এই বলের ক্ষেত্রে। চকচকে ভাবটা অনেকক্ষণ ধরে রাখা যায়।” ঘাস না থাকলে স্পিনে বাড়তি সুবিধা করে দিচ্ছে গোলাপি বল? আনন্দ বলেন, “বাড়তি বার্নিশ রাখতেই হবে, নইলে রাতের দিকে বল দেখা যাবে না। আমাদের অনেক পরীক্ষা করতে হবে এখনও। আমাদের হাতে সময় রয়েছে এটাই ভাল দিক।”