লাল-হলুদ ছাড়তে চান মাঠি স্টেনম্যান। ফাইল চিত্র
বিনিয়োগকারী শ্রী সিমেন্ট ও ক্লাবের মধ্যে চূড়ান্ত চুক্তি এখনও স্বাক্ষরিত হয়নি। কিন্তু তাই বলে তো ফুটবলাররা হাত গুটিয়ে বসে থাকতে পারবেন না। তাই এ বার লাল-হলুদের বিনিয়োগকারীদের চিঠি দিয়ে ক্লাব ছাড়তে চাইলেন মাঠি স্টেনম্যান ও ব্রাইট এনোবাখারে। শুধু তাই নয়, নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে অন্ধকারে থাকা মুখ্য প্রশিক্ষক রবি ফাওলার পর্যন্ত শ্রী সিমেন্টের কর্ণধার হরি মোহন বাঙ্গুরের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছেন। লাল-হলুদের বিনিয়োগকারীদের তরফ থেকে এই খবরের সত্যতা স্বীকার করা হয়েছে।
গত বার সবার শেষে বেশ নাটকীয় ভাবে আইএসএল-এ যোগ দিলেও, নয় নম্বরে শেষ করেছিল রবি ফাওলারের এসসি ইস্টবেঙ্গল। সঙ্গে ছিল জোড়া ডার্বি হার। তবে দলের ফল খারাপ হলেও বেশ নজর কেড়েছিলেন স্টেনম্যান ও ব্রাইট। অনূর্ধ্ব ২০ জার্মানির হয়ে খেলা স্টেনম্যানের সঙ্গে বিনিয়োগকারীরা দুই মরসুমের জন্য চুক্তি করেছিল। কিন্তু এক মরসুম লাল-হলুদের হয়ে খেলার পরই তাঁর মোহভঙ্গ হল। ক্লাব ও বিনিয়োগকারীদের এই টানাপোড়েনের মধ্যে নিজেকে জড়িয়ে ফেলতে তিনি রাজি নন। তাছাড়া ২৬ বছরের স্টেনম্যানকে আগামী মরসুমের জন্য অনেক বেশি টাকা দিয়ে তাঁর পুরনো ক্লাব ওয়েলিংটন ফোনিক্স ফেরাতে চায়। শোনা যাচ্ছে গত মরসুমে ১৬ ম্যাচে ৪ গোল করা এই মিডফিল্ডার অস্ট্রেলিয়া এ লিগে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন।
লাল-হলুদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে চাইছেন ব্রাইট। ফাইল চিত্র।
স্টেনম্যানের মতোই কম ম্যাচে নিজেকে মেলে ধরেছিলেন ব্রাইট এনোবাখারে। গত মরসুমে ট্রান্সফার উইন্ডোকে কাজে লাগিয়ে জানুয়ারি মাসে নাইজেরিয়ার এই স্ট্রাইকারকে মাঠে নামিয়েছিলেন ফাওলার। অভিষেক ম্যাচেই গোল করে চমকে দিয়েছিলেন। তবে তাঁর সঙ্গে গত আইএসএল-এর শেষ ম্যাচ পর্যন্ত লাল-হলুদের চুক্তি ছিল। যদিও বিনিয়োগকারীদের দাবি ২৩ বছরের ব্রাইট নাকি ইস্টবেঙ্গলের হয়ে খেলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ক্লাব বনাম বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শেষ না হওয়া লড়াই দেখে তিনিও মত বদলে হরি মোহন বাঙ্গুরের দপ্তরে চিঠি দিয়েছেন।
এমনকি ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন একাধিক ভারতীয় ফুটবলার। আগামী এক মাসের মধ্যে এই চুক্তি জট না খুললে দেবজিৎ মজুমদার, মহম্মদ রফিক, নারায়ণ দাস, রাজু গায়কোয়াড়ের মতো ভারতীয় ফুটবলাররা অন্য দল দেখতে শুরু করবেন। এখন এই জল কত দূর গড়ায় সেটাই দেখার।