ছবি পিটিআই।
আত্মবিশ্বাস আর কখনও নিজেদের অন্যদের থেকে কম মনে না করাই তাঁদের সাফল্যের মূলে। বললেন রবিবার তাইল্যান্ড ওপেন জয়ী সাত্ত্বিকসাইরাজ রানকিরেড্ডি। সঙ্গী চিরাগ শেট্টির সঙ্গে জুটিতে ইতিহাস গড়ে সোমবারই হায়দরাবাদে ফিরেছেন সাত্ত্বিক। যে কৃতিত্ব এর আগে আর কোনও ভারতীয় পুরুষ ডাবলস জুটি দেখাতে পারেনি। এখনও যেন জয়ের স্বাদ লেগে রয়েছে মনে। সাত্ত্বিক বলেন, ‘‘দারুণ লাগছে এই প্রতিযোগিতা জিততে পেরে। এখনও কী ভাবে জিতলাম তার ভিডিয়ো দেখছি। আমরা ঠিক চ্যাম্পিয়নের মতোই খেলেছি। কখনও মনে করিনি আমরা কারও থেকে কম যাই।’’
ফাইনালে বিশ্ব সেরা চিনা জুটিকে হারালেও, সেমিফাইনালেও সাত্ত্বিকদের জয়ের মূল্য কম ছিল না। তাঁদের লড়াই ছিল কোরিয়ার শক্তিশালী জুটি কো সাং হিউন-শিন বায়েক শিওল-এওর বিরুদ্ধে। যাঁরা সাত্ত্বিকদের আদর্শ। ‘‘আমাদের দু’জনের কাছেই ওঁরা আদর্শ। অনেক শিখেছি ওঁদের খেলতে দেখে,’’ বলেন তিনি। পাশাপাশি সাত্ত্বিক আরও বলেছেন, সাইনা নেহওয়াল, পারুপাল্লি কাশ্যপ, কিদম্বি শ্রীকান্ত এই দুরন্ত খেতাব জয়ের পরে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন তাঁদের। সাত্ত্বিকের আশা, চিরাগ আর তাঁর এই সফল্য ডাবলসে আরও আগ্রহ বাড়াবে, প্রাপ্য স্বীকৃতিও পাবে। ‘‘অনেক মেসেজ পেয়েছি। অনেকেই বলছেন, আমাদের জন্য এ বার ডাবলস প্রাপ্য স্বীকৃতি পাবে। এ সব দেখে মনে হচ্ছে ধীরে ধীরে ডাবলসে আগ্রহ বাড়ছে মানুষের,’’ বলেন সাত্ত্বিক।
চিরাগ আবার বলেছেন, এ বার তাঁরা নিজেদের খেলা আরও উন্নত করার দিকে নজর দিতে চান। মূলত রক্ষণ। এ ভাবে উন্নতি করতে থাকলে তাঁরা বিশ্বের প্রথম পাঁচ জুটির মধ্যেও উঠে আসতে পারেন। তাইল্যান্ডের এই খেতাব জয়ের পরে এখন আত্মবিশ্বাসে টগবগ করে ফুটছেন সাত্ত্বিক ও চিরাগ। এ বার তাঁদের লক্ষ্য আসন্ন হায়দরাবাদ ওপেনে তাজ ধরে রাখা। ‘‘তাইল্যান্ড ওপেনে জয়ের জন্য এ বার আমাদের নিয়ে আরও প্রত্যাশা তৈরি হবে। অলিম্পিকের আগের বছর বলে এ বার আরও কঠিন লড়াই অপেক্ষা করবে। তবে আমরাও বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের হারিয়েছি। আমাদের সেরাটা উজাড় করে দিতেই হবে। আমরা ঠিকঠাক খেলতে পারলে এই প্রতিযোগিতা জিততে পারি,’’ বলেন চিরাগ।