চেনা মেজাজে সনৎ জয়সূর্য। ছবি: দেবরাজ ঘোষ
এতদিন কম ক্রিকেট নক্ষত্র দেখেনি খড়্গপুরের বিএনআর ময়দান। রবিবার সেই মাঠই উজ্জ্বল হল জয়সূর্যে।
ছুটির সন্ধ্যা থেকেই ভিড় জমতে শুরু করেছিল রেলশহরের এই মাঠে। শহরে দুপুরে পৌঁছে গেলেও শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন অধিনায়ক ও দাপুটে অলরাউন্ডার সনৎ জয়সূর্য মাঠে পৌঁছন প্রায় রাত ন’টা নাগাদ। বিএনআর ময়দানে তখন বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস। এদিন সন্ধ্যা থেকে চেয়ারম্যান্্স ট্রফির সেমিফাইনাল শুরু হয়। ফাইনালে মুখোমুখি হয় ১৩ ও ২২ নম্বর ওয়ার্ড। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের ক্রিকেটার গিরীশ কুমার বলেন, ‘‘শুধুমাত্র সনৎ জয়সূর্যকে কাছ থেকে দেখব বলে আমরা মন দিয়ে খেলেছি। এ এক দারুণ অনুভূতি।’’
দর্শকের ভিড়ে থাকা ওয়াই রাজশেখরের কথায়, ‘‘এই মাঠে বহু তারকাকে দেখেছি। জয়সূর্যকে নিয়ে আমাদের আলাদা আবেগ। উনি দক্ষিণী। আমিও।’’ আপ্লুত জয়সূর্য নিজেও। মাঠের নানা মুর্হূত তিনি বন্দি করেছেন মোবাইল ক্যামেরায়।
শুধু ক্রিকেটপ্রেমী নয়, মিশ্র সংস্কৃতির এই শহরের দক্ষিণী জনগোষ্ঠীর মধ্যে জয়সূর্যকে ঘিরে ছিল আলাদা আবেগ। দুপুরেই আইআইটি-র গেস্টহাউসে এসে পৌঁছন শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ক। তাঁকে পুষ্পস্তবক দিয়ে বরণ করে নেন পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার। সঙ্গে ছিলেন শহরের দুই দক্ষিণ ভারতীয় কাউন্সিলর পূজা নায়ডু ও অঞ্জনা সাকরে। পূজা বলেন, ‘‘আমি নিজে দক্ষিণী জনগোষ্ঠীর হওয়ায় অন্যরকম অনুভূতি হচ্ছে। ’’
হুডখোলা গাড়িতে এদিন মাঠ ঘুরছেন জয়সূর্য। তারকার সঙ্গে হাত মেলাতে বাঁধ ভেঙেছে ভিড়। ২০০২ সালে এই প্রতিযোগিতাতেই খেলে গিয়েছেন একসময়ে রেলশহরে কর্মরত প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। এ দিন জয়সূর্যও বলেছেন, ‘‘খুব ভাল লাগছে এখানে এসে যেখানে একসময়ে ধোনি খেলে গিয়েছেন। সুন্দর ক্রিকেট প্রতিযোগিতা আয়োজনের জন্য পুরসভাকে ধন্যবাদ।’’ তবে কিছু ছন্দপতনও হয়েছে। খেলা দেখার মাঝে তৃণমূলের জেলা নেতাদের হুড়োহুড়িতে জয়সূর্যের মুখে অস্বস্তি ধরা পড়ে। সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সরিয়ে নেতারা ছবি তুলতে ব্যস্ত হওয়ায় মঞ্চে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়।