পৃথ্বীর নির্বাসনের বিরোধিতা করেছেন দিলীপ বেঙ্গসরকার। ছবি: এএফপি।
ডোপিংয়ের দায়ে আট মাসের জন্য নির্বাসিত হওয়া ভারতের প্রতিশ্রুতিমান ক্রিকেটার পৃথ্বী শ-এর পাশে দাঁড়িয়ে এবার মুখ খুললেন দিলীপ বেঙ্গসরকর। তাঁর মতে, মাত্র উনিশ বছর বয়সী ক্রিকেটারের কাছে এই ধরনের শাস্তি লঘু পাপে গুরুদণ্ডের সামিল। পৃথ্বী প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের তিনি জানান, “আমার মনে হয় ওকে এত কড়া শাস্তি দেওয়া উচিত হয়নি। কারণ সর্দি-কাশির ওষুধে যে এই ধরনের নিষিদ্ধ বস্তু থাকে তা অনেক ক্রিকেটারই জানে না।”
চলতি বছরে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির সময় ২২ ফেব্রুয়ারি ইনদওরে পৃথ্বীর মূত্রের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পৃথ্বীর মূত্রের নমুনায় নিষিদ্ধ টারবুটালাইন পাওয়া গিয়েছিল।পৃথ্বীর মূত্রের নমুনায় পাওয়া এই টারবুটালাইন সাধারণত কাশির সিরাপে পাওয়া যায়।বিশ্ব ডোপবিরোধী সংস্থার(ওয়াডা) নিষিদ্ধ তালিকায় রয়েছে এই টারবুটালাইন। ঘটনা হল, এই ধরনের নিষিদ্ধ যৌগ যে ওষুধে থাকে, তা একান্তই যদি কোনও খেলায়াড়কে গ্রহণ করতে হয়, তবে তাঁর সঙ্গে ‘থেরাপিউটিক ইউজ এক্সেমপসন সার্টিফিকেট’ থাকা বাধ্যতামূলক। পৃথ্বীর কাছে তেমন কোনও সার্টিফিকেট ছিল না।যার ফলে কিছুদিন আগে এক বিবৃতি প্রকাশ করে বোর্ড পৃথ্বীকেচলতি বছর ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সমস্ত ধরনের ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত করে।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ ফাইনালে বিতর্কিত বাউন্ডারি নিয়ে সতীর্থের দাবি উড়িয়ে দিলেন স্টোকস
এই নির্বাসনেরই তীব্র বিরোধিতা করেছেন বেঙ্গসরকর। তিনি বলেন, “নির্বাসনের বদলে ওকে তিন চারটে ম্যাচে সাসপেন্ড করতে পারতেন বোর্ড কর্তারা। আট মাস অনেকটা বড় সময়। এর ফলে বহু গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলতে পারবে না পৃথ্বী। তার থেকে সাসপেন্ড করলে পৃথ্বীর কাছে বার্তাও যেত, আবার ওর কেরিয়ারের ক্ষতিও হত না।”
মুম্বইয়ের প্রতিশ্রুতিমান তারকা১৯ বছরের পৃথ্বী গত বছরেই দেশের মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দু’টি টেস্ট খেলেন। অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরিও করেছিলেন। তার আগে পৃথ্বীর নেতৃত্বেই অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত। যাঁর খেলা দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন মাস্টার ব্লাস্টারসচিন তেন্ডুলকরও। কিন্তু ডোপ টেস্টে ধরা পড়ে আপাতত নির্বাসনে এই প্রতিশ্রুতিমান ওপেনার ব্যাটসম্যান।