মাত্র ৩৮ মিনিট। সিন্ধু-ঝড়ের কাছে উড়ে গেলেন জাপানের নজোমি ওকুহারা। সুইৎজারল্যান্ডের বাসেলে একেবারেই একতরফা ম্যাচে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হলেন পি ভি সিন্ধু। ভারত থেকে এই প্রথম! তবে ব্যাডমিন্টন কোর্টে হায়দরাবাদের ২৪ বছর বয়সি শাটলারের বিধ্বংসী রূপ এর আগেও দেখেছে বিশ্ব। এক ঝলকে ফিরে দেখা সিন্ধুর কয়েকটি অবিশ্বাস্য কীর্তি।
রবিবার বাসেলে সোনার পদক ছিনিয়ে নেওয়ার পর কিংবদন্তি শাটলার চিনের ঝ্যাং নিংয়ের এক অনন্য রেকর্ড স্পর্শ করলেন পি ভি সিন্ধু। নিংয়ের মতোই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে পাঁচ-পাঁচটি পদক হল তাঁর।
কোন সে পাঁচ পদক? ২০১৩ এবং ’১৪ সালে পর পর দু’বার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন সিন্ধু। এর পর ২০১৭ সাল থেকে টানা তিন বার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে পা রাখেন তিনি। ২০১৭, ’১৮-তে রুপো জিতলেও এ দিন ফাইনালে সোনার হাসিটি হাসলেন পি ভি-ই!
অনন্য রেকর্ড আরও রয়েছে সিন্ধুর ঝুলিতে। ২০১৬-তে প্রথম ভারতীয় মহিলা হিসাবে অলিম্পিক্সে রুপোর পদক পান তিনি। সে বছর ব্রাজিলের রিও ডি জেনেইরোতে স্পেনের ক্যারোলিনা মারিনের কাছে সেই হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচে হেরে গেলেও সিন্ধুর লড়াই মনে রেখেছেন সবাই।
এশিয়ান গেমস থেকেও রুপোর পদক তুলে নিয়েছেন পি ভি সিন্ধু। গত বছর ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় চিনের তাই জু ইংকে হারিয়েছিলেন সিন্ধু।
এশীয় স্তরে সাফল্যের আগেও কমনওয়েলথ গেমসে নিজের ছাপ রেখেছিলেন পুল্লেলা গোপীচন্দের এই ছাত্রী। ২০১৪-তে গ্লাসগোতে মালয়েশীয় শাটলার টি জিং ই-কে হারিয়ে ব্রোঞ্জ জয়। এর পর গত বছর ফের কমনওয়েলথে সাফল্য আসে। সে বার অস্ট্রেলিয়ায় সাইনা নেহওয়ালকে হারিয়ে রুপো জিতে নেন সিন্ধু।
বিডব্লিউএফ ওয়ার্ল্ড ট্যুরের মতো কঠিন প্রতিযোগিতাতেও সাফল্যের মুখ দেখেছেন সিন্ধু। মোট ছ’টি লেভেলে ভাগ করা থাকে এই ট্যুর। গত বছর এই ট্যুরের অঙ্গ হিসাবে ইন্ডিয়ান ওপেন, তাইল্যান্ড ওপেনে রানার্স-আপ হন সিন্ধু। বিডব্লিউএফ ওয়ার্ল্ড ট্যুর ফাইনালস জয়ের পর চলতি বছরে ইন্দোনেশিয়া ওপেনের ফাইনালেও ওঠেন তিনি।
বিডব্লিউএফ সুপার সিরিজেও জয়জয়কার সিন্ধুর। বিশ্বের বাছাই করা শাটলারদের মাঝে সেখানেও নিজস্ব গতি বজায় রেখেছেন তিনি। ২০১৫-তে ডেনমার্ক ওপেনে রানার্স-আপ, ’১৬-তে চিন ওপেন জেতার পর হংকং ওপেনে রানার্স-আপ। এর পরের বছর ইন্ডিয়ান ওপেন ও কোরিয়া ওপেন জয়। সে বছরই হংকং ওপেন এবং বিডব্লিউএফ সুপার সিরিজ ফাইনালে রানার্স-আপ।
বিডব্লিউএফ গ্রাঁ প্রি-তেও ছ’বার জিতেছেন সিন্ধু। ২০১৩-তে মালয়েশীয় মাস্টার্স ও ম্যাকাও ওপেন জেতেন তিনি। এর পরের দু’বছরও টানা দু’বার ম্যাকাও ওপেনে বিজয়ী। ’১৬-তে ফের মালয়েশীয় মাস্টার্স এবং ’১৭-তে সৈয়দ মোদী আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট জয়।