অনিশ্চয়তা: সৌরভের নির্বাচনে দাঁড়ানো নিয়ে নতুন নাটক। ফাইল চিত্র
সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত কমিটি অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্সের (সিওএ) পাঠানো এক ব্যাখ্যায় সিএবি নির্বাচনের সম্পূর্ণ ছবিই পাল্টে যেতে বসেছে। নানা ব্যাপার নিয়ে নির্বাচনের আগে প্রশ্ন উঠছিল। তারই ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছিল সিওএ-র কাছ থেকে। সেই জবাবে তারা যা জানিয়েছে, তা দেখে চোখ কপালে উঠেছে কর্তাদের।
সিওএ জানিয়েছে, পদাধিকারী হিসেবে সংস্থায় টানা যে ছয় বছর বা সব মিলিয়ে নয় বছর থাকা যাবে, তার মধ্যে ওয়ার্কিং কমিটির মেয়াদকালও ধরা হবে। এই নিয়ম প্রযোজ্য হলে অনেকেই আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। সিএবি-তে যাঁদের নাম যুগ্ম-সচিব, কোষাধ্যক্ষ বা অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদের জন্য ভাবা হচ্ছিল, তাঁদের আদৌ প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতামান থাকছে কি না, তা নিয়েই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। নতুন করে সব প্রার্থীদের নাম ভাবতে হবে।
এত দিন ঠিক ছিল, প্রেসিডেন্ট হিসেবে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের আরও কয়েক মাস মেয়াদ বাকি রয়েছে। সচিব এবং প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুরো ছয় বছর তিনি টানা কাটাননি এখনও। তাই মোটামুটি নিশ্চিত ছিল, সৌরভ এ বারের নির্বাচনে দাঁড়িয়ে সিএবি প্রেসিডেন্ট হিসেবে আরও কয়েক মাসের জন্য থাকবেন। তার পর সামনের জুলাইয়ে ফের যখন সিএবি নির্বাচন হবে, অন্য কেউ তাঁর জায়গায় আসবেন। লোঢা সুপারিশ অনুযায়ী, সৌরভকে তখন ‘কুলিং অফ’ বা বিশ্রামে যেতে হবে। তিনি আবার ফিরতে পারবেন তিন বছর পরে। এই তিন বছরের বিশ্রামের পরে তিনি বোর্ডেও থাকতে পারবেন টানা ছ’বছর এবং সব মিলিয়ে ন’বছর।
কিন্তু সিওএ-র নতুন এই ব্যাখ্যায় প্রশ্ন উঠেছে সৌরভের থাকা নিয়েও। কারণ সচিব হওয়ার আগে তিনি দু’বছরের জন্য ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য ছিলেন। যদিও শাসকগোষ্ঠীর সমর্থকেরা বলছেন, দু’বছর ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য থাকলেও সচিব হওয়ার আগে সৌরভ বিরতি দিয়েছিলেন। সেই সময়টাকে কী ভাবে দেখা হবে, তার আরও ব্যাখ্যা দরকার। সিএবি-র নির্বাচনী অফিসার এ নিয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা চেয়ে পাঠাচ্ছে সিওএ-র থেকে। যদি টানা ছয় বছর না কাটানোর যুক্তি গৃহীত হয়, তা হলে সৌরভ নির্বাচনে লড়বেন। থাকবেন কয়েক মাস।
অনেকেরই মনে হচ্ছে, সব রাজ্য সংস্থাতেই ওয়ার্কিং কমিটি সদস্যদের বাদ দিতে হলে সংস্থাই প্রায় ফাঁকা হয়ে যাবে। পদাধিকারী কাদের করা যাবে, তা নিয়েই সঙ্কট তৈরি হতে পারে। সত্তরোর্ধ্ব কর্তাদেরও ভোটদানের অধিকার পাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই, জানিয়ে দিয়েছে সিওএ। এ নিয়ে সোমবারই চিঠি পাঠানো হয়েছে সিওএ-কে। স্থগিত রাখা হয়েছে সদস্যদের মনোনয়নও।