প্যাট কামিন্স
করোনাভাইরাসের জন্য অক্টোবরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ না হলে তার জায়গায় আইপিএল হওয়াটাই যথাযথ। মনে করেন অস্ট্রেলীয় পেসার প্যাট কামিন্স। বিশ্ব জুড়ে করোনা অতিমারির জন্য খেলাধুলোর জগৎ স্তব্ধ। আইপিএলও যে কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। জল্পনা চলছে, যদি অস্ট্রেলিয়ায় হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পিছিয়ে যায়, তা হলে সেই সময়ে আইপিএল হতে পারে।
‘‘যদি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হওয়ার সময়টা ফাঁকা হয়ে যায়, তা হলে আইপিএল হওয়াটাই যথাযথ,’’ বলেছেন কামিন্স। গত বছর নিলামে যাঁকে রেকর্ড সাড়ে পনেরো কোটি টাকা দিয়ে দলে নিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। তিনি আরও বলেছেন, ‘‘বিশ্ব জুড়ে কোটি কোটি দর্শক আইপিএলের জন্য অপেক্ষা করে থাকে। এত দিন ক্রিকেট বন্ধ থাকায় সেই সময় আইপিএল হলে সম্ভবত দর্শকদের সংখ্যাটা আরও বেড়ে যাবে। আইপিএল হোক, এটা আমার চাওয়ার পিছনে অনেক কারণ রয়েছে। তবে সব চেয়ে বড় কারণটা হল, এটা দুর্দান্ত একটা প্রতিযোগিতা।’’
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভাগ্য নিয়ে সিদ্ধান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বৃহস্পতিবার আইসিসির বৈঠকে। প্রাক্তন অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক অ্যালান বর্ডার এবং ইয়ান চ্যাপেল অবশ্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জায়গায় আইপিএল হওয়া নিয়ে খুব একটা খুশি নন। বর্ডার জানিয়েছেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চেয়ে আইপিএলকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া উচিত নয়। চ্যাপেল আবার মনে করেন, অস্ট্রেলীয় খেলোয়াড়দের ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় বেশি জোর দেওয়া উচিত।
যদিও কামিন্স দু’মাসেরও বেশি চার দেওয়ালের মধ্যে বন্দি থাকার পরে মাঠে ফিরতে মুখিয়ে রয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘মাঠে নামতে আমি তৈরি।’’
পার্থিবের পরামর্শ: ভারতীয় উইকেটকিপারদের নিয়মিত সুযোগ দেওয়ার পক্ষে কথা বললেন পার্থিব পটেল। টেস্টে ঋদ্ধিমান সাহা ও ঋষভ পন্থকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলানো হয়। ওয়ান ডে-তে কে এল রাহুল ও ঋষভ পন্থের মধ্যে যে কোনও এক জন কিপিং করেন। টি-টোয়েন্টির জন্যও স্থায়ী কেউ নেই। তাই পার্থিব জানিয়েছেন, নিয়মিত সুযোগ দিলেই জাতীয় দলে স্থায়ী জায়গা করা যায়।
বুধবার ইনস্টাগ্রাম লাইভ চ্যাটে পার্থিব বলেন, ‘‘ভারতীয় দলে স্থায়ী উইকেটকিপার এখন কেউ নেই। ভারতীয় ‘এ’ দলের জন্য কে এস ভরত শুধু রয়েছে। কিন্তু ওয়ান ডে-তে রাহুল ও ঋষভের মধ্যে এক জন খেলে। টেস্টে ঋদ্ধি ও ঋষভের মধ্যে খেলানো হয় এক জনকে। কিপারদের ধারাবাহিক সুযোগ দিতে হবে। তবেই ওরা জাতীয় দলে স্থায়ী জায়গা করবে।’’