কিলিয়ান এমবাপে। ছবি: রয়টার্স।
এক দিকে পাঁচ বারের ইউরোপ সেরা বায়ার্ন মিউনিখ। অন্য দিকে পঞ্চাশতম বর্ষে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ওঠা প্যারিস সাঁ জারমাঁ (পিএসজি)।
এই মরসুমে বায়ার্ন অপ্রতিরোধ্য। টানা দশটি ম্যাচ জিতেছে তারা। বার্সেলোনার মতো দলকে ৮-২ চূর্ণ করেছেন রবার্ট লেয়নডস্কি, থোমাস মুলার, স্যাজ ন্যাব্রিরা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ইতিমধ্যেই ১৫টি গোল করে ফেলেছেন লেয়নডস্কি। ফাইনালে তাই তাঁদেরই এগিয়ে রাখছেন অধিকাংশ ফুটবল বিশেষজ্ঞ। অথচ খেতাবি লড়াইয়ে বায়ার্নের প্রতিপক্ষ পিএসজি। যে দলে নেমার দা সিলভা স্যান্টোস, কিলিয়ান এমবাপে, অ্যাঙ্খেল দি মারিয়ার মতো একঝাঁক তারকা রয়েছেন। ফ্রানৎজ বেকেনবাউয়ারের মতো কিংবদন্তি পর্যন্ত সতর্ক করে দিয়েছেন বায়ার্নকে।
দ্বৈরথের আগে দুই শিবিরের দুই চাণক্য কী বলছেন? বায়ার্নকে বদলে দেওয়া হান্স ফ্লিকের কথায়, ‘‘পিএসজি অসাধারণ দল। দুর্দান্ত লড়াই করে শেষ চারে ও ফাইনালে উঠেছে।’’ তিনি যোগ করেছেন, ‘‘পিএসজির খেলা বিশ্লেষণ করে বুঝেছি, ওরা প্রচণ্ড গতিতে আক্রমণে উঠে আসে। আমাদের রক্ষণ মজবুত করে খেলতে হবে।’’ এর পরেই তাঁর হুঙ্কার, ‘‘আমাদের প্রধান অস্ত্র বিপক্ষকে চাপে ফেলা। গত দশ মাস ধরে এ ভাবেই খেলছি। কোনও অবস্থাতেই রণনীতি পরিবর্তন করব না। বিপক্ষের ফুটবলারদের বল ধরতে না দেওয়াই হবে আমাদের লক্ষ্য।’’ জেহোম বোয়াতেং কি খেলবেন ফাইনালে? হান্স বলছেন, ‘‘প্রধান কোচ হিসেবে আমি সব সময়ই জেহোমকে চাইব। অনুশীলনে ওকে দেখার পরেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।’’
পিএসজি ম্যানেজার থোমাস টুহেলের জন্ম জার্মানিতে। দু’বছর আগে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ছেড়ে নেমারদের দায়িত্ব নিয়েছেন। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলতে লিসবনে আসার আগেই চোট পান থোমাস। ম্যাচের সময় পায়ে প্লাস্টার বাঁধা অবস্থাতেই রিজার্ভ বেঞ্চে বসছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘এই মুহূর্তে আমার অনুভূতি ব্যাখ্যা করা খুব কঠিন। একটা সময় প্রচণ্ড হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। এখন দারুণ খুশি।’’ এর পরেই তিনি যোগ করেছেন, ‘‘তবে এখন প্রধান কাজ হচ্ছে মনঃসংযোগ নষ্ট হতে না দেওয়া। আমাদের যাত্রা শেষ হয়নি। ফাইনাল এখনও বাকি। এই পরিস্থিতিতে আমাদের শাস্ত ও চাপমুক্ত থাকতে হবে।’’ অদ্ভুত ভাবে পিএসজি ম্যানজার প্রতিপক্ষ বায়ার্ন সম্পর্কে কোনও প্রতিক্রিয়াই জানাননি।
ফাইনালের আগে পিএসজি ম্যানেজারের মতোই উত্তেজিত বায়ার্ন তারকা জোসুয়া খিমিচ। সাংবাদিক বৈঠকে তাঁর হুঙ্কার, ‘‘নেমার, এমবাপে দুর্দান্ত ফরোয়ার্ড ঠিকই। আমরাও কিন্তু পিছিয়ে নেই।’’