শোয়েব-সানিয়ার সম্পর্কের পরিণতি নিয়ে জল্পনা চলছেই। ছবি: টুইটার।
সানিয়া মির্জার সঙ্গে শোয়েব মালিকের বিবাহবিচ্ছেদের খবরের সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে পাকিস্তানের মডেল, অভিনেত্রী আয়েশা ওমরের নাম। আয়েশার সঙ্গে নাকি সম্পর্কে জড়িয়েছেন পাকিস্তানের অলরাউন্ডার। তাঁদের ঘনিষ্ঠ ছবিও দেখা গিয়েছে সমাজমাধ্যমে। শোয়েবের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে অবশেষে মুখ খুলেছেন আয়েশা।
পাকিস্তানের অভিনেত্রীর দাবি, তাঁর সঙ্গে শোয়েবের কোনও সম্পর্ক নেই। এমন খবর রটায় তিনি বিস্মিত। তিনি জানিয়েছেন, যে ছবি নিয়ে জল্পনা তৈরি করা হচ্ছে তা পুরনো। এক সাক্ষাৎকারে আয়েশা বলেছেন, ‘‘পেশাদার কারণে এই ছবি তোলা হয়েছিল অনেক আগে। একটি বিজ্ঞাপনে আমরা এক সঙ্গে কাজ করেছিলাম। অথচ অনেকে বলছেন, এটা নাকি আমার আর শোয়েবের ঘনিষ্ঠ ছবি। শুধু শুধু দু’টো বিষয়ের মধ্যে যোগসূত্র তৈরি করা হচ্ছে। এই ছবির সঙ্গে শোয়েব-সানিয়ার বিচ্ছেদের কোনও সম্পর্ক নেই।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘আমি কখনও কাউকে বিবাহিত জীবনের বাইরে এ ধরনের সম্পর্ক নিয়ে উৎসাহিত করিনি। বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক আমার পছন্দ নয়।’’
আয়েশা মেনে নিয়েছেন, শোয়েবের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব রয়েছে। আয়েশা বলেছেন, ‘‘আমি শোয়েব এবং সানিয়ার সম্পর্কের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমি ওদের দু’জনকেই পছন্দ করি। শোয়েব আমার ভাল বন্ধু। তার থেকে বেশি কিছু না।’’ সমাজমাধ্যমে তাঁকে কয়েক জন শোয়েবের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন। তাঁদের এক জনকে আয়েশার উত্তর, ‘‘এমন কিছুই নেই। ভুল ভাবছেন। শোয়েব বিবাহিত। স্ত্রীকে নিয়ে শোয়েব যথেষ্ট খুশি।’’
গত কয়েক মাস ধরেই শোয়েবের সঙ্গে সনিয়ার বিচ্ছেদের খবর নিয়ে জল্পনা চলছে। যদিও এই বিষয় নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি তাঁদের কেউই। সূত্রের খবর, আয়েশার প্রতি শোয়েবের আগ্রহ নিয়েই সানিয়ার ১২ বছরের বৈবাহিক জীবনে অশান্তির সূত্রপাত এবং পরিণতিতে বিচ্ছেদ। একটি বিজ্ঞাপনী চুক্তির জন্য তাঁরা সরকারি ভাবে বিচ্ছেদের ঘোষণা করতে সময় নিচ্ছেন। তাঁরা বিচ্ছেদের আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছেন। আয়েশাও বিষয়টি নিয়ে এত দিন কোনও মন্তব্য করেননি। অবশেষে পাক অভিনেত্রী জানালেন পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়কের সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই।
কিছু দিন আগে ইনস্টাগ্রামে একটি স্টোরিতে সানিয়া লিখেছিলেন, “ভাঙা হৃদয় কোথায় যায়? ঈশ্বর খুঁজতে।” ভারতের অন্যতম সেরা টেনিস তারকা ছেলের সঙ্গে একটি ছবিও পোস্ট করেন। তাতে দেখা যাচ্ছে ইজ়হান তাঁকে চুমু খাচ্ছে। সেই সঙ্গে সানিয়া লিখেছিলেন, “যে মুহূর্তগুলো কঠিন সময় পার করে দেয়।” নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে শোয়েবের ছবিও সরিয়ে দেন সানিয়া।
শোয়েব এবং আয়েশার এই ঘনিষ্ঠ ছবিই আলোচনার কেন্দ্রে। ছবি: টুইটার।
গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময় সমাজমাধ্যমে সানিয়ার বাবা ইমরান মির্জা লিখেছিলেন, “গত কয়েক দিন ধরে আমাদের জীবনের একটি নির্দিষ্ট বিষয়কে নিয়ে প্রকাশ্যে অনেক আলোচনা হচ্ছে, যাতে আমি এবং আমার পরিবার বিধ্বস্ত। অর্ধেক সত্যের দ্বারা তৈরি হওয়া আমাদের জীবনের একটি বিষয়কে নিয়ে অনেকেই আমাকে ব্যক্তিগত ভাবে বিরক্ত করছেন এবং একের পর এক প্রশ্নের দ্বারা উত্ত্যক্ত করছেন। শোয়েব মালিক এবং সানিয়া মির্জা গত ১২ বছর ধরে বিবাহিত জীবন কাটাচ্ছে। বাকিদের মতোই ওদের জীবনেও ওঠানামা রয়েছে। টম, ডিক, হ্যারির মতো কিছু কিছু ব্যক্তি সেটাকে নিয়ে উত্তেজক কাহিনি তৈরির করার চেষ্টা করছে, যা আমরা কোনও মতেই সমর্থন করি না।”