প্যারিস অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জ পদক হাতে স্বপ্নিল কুশালে। —ফাইল চিত্র।
৭২ বছর পরে মহারাষ্ট্রের দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসাবে অলিম্পিক্সে পদক জিতেছেন স্বপ্নিল কুশালে। প্যারিসে ৫০ মিটার থ্রি পজিশনস শুটিংয়ে ব্রোঞ্জ জিতেছেন তিনি। পদক জেতায় তাঁকে ২ কোটি টাকা পুরস্কার দিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। এই পুরস্কারে খুশি নন তাঁর বাবা সুরেশ কুশালে। তাঁর দাবি, স্বপ্নিলকে ৫ কোটি টাকা পুরস্কার ও একটি ফ্ল্যাট উপহার দেওয়া উচিত ছিল রাজ্য সরকারের। এই প্রসঙ্গে হরিয়ানা সরকারের উদাহরণ দিয়েছেন তিনি।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে সুরেশ বলেন, “হরিয়ানা সরকার অলিম্পিক্সে পদকজয়ী প্রত্যেক খেলোয়াড়কে ৫ কোটি টাকা করে দিচ্ছে। কিন্তু মহারাষ্ট্র সরকার অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জজয়ী খেলোয়াড়কে ২ কোটি টাকা দিচ্ছে। কুস্তিগির কেডি যাদবের ৭২ বছর পরে স্বপ্নিল এই রাজ্য থেকে দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসাবে অলিম্পিক্সে পদক জিতেছে। তা হলে ওর সঙ্গে কেন এই ব্যবহার হচ্ছে? মহারাষ্ট্র সরকার বলেছে, সোনা জিতলে ৫ কোটি, রুপো জিতলে ৩ কোটি ও ব্রোঞ্জ জিতলে ২ কোটি টাকা দেবে। যে রাজ্য থেকে এত বছরে কেউ পদক জেতেনি সেখানে কেন এই নিয়ম হবে?”
সুরেশ হরিয়ানা সরকারের যে ৫ কোটি টাকা দেওয়ার তথ্য দিয়েছেন তাতে সামান্য ভুল রয়েছে। হরিয়ানা সরকার অলিম্পিক্সে সোনাজয়ীকে ৬ কোটি, রুপোজয়ীকে ৪ কোটি ও ব্রোঞ্জজয়ীকে আড়াই কোটি টাকা পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। অর্থাৎ, স্বপ্নিল হরিয়ানার ছেলে হলে আড়াই কোটি টাকা পেতেন। ৫ কোটি টাকা নয়।
প্যারিসে ব্যক্তিগত বিভাগে ভারতের পাঁচ খেলোয়াড় পদক জিতেছেন। তার মধ্যে চার জন হরিয়ানার। এক জন মহারাষ্ট্রের। অর্থাৎ, পুরস্কারের জন্য বেশি টাকা খরচ করতে হয়েছে হরিয়ানাকে। অনেক ছোট রাজ্য হয়েও হরিয়ানা সরকার সেখানকার পদকজয়ীদের বেশি সাহায্য করছে বলেই অভিযোগ করেছেন সুরেশ।
শুধু বেশি পুরস্কারমূল্য নয়, আরও দাবি রয়েছে সুরেশের। তিনি বলেন, “পুণের বালেওয়াড়ি স্টেডিয়ামের কাছে স্বপ্নিলকে একটা ফ্ল্যাট দেওয়া উচিত ছিল সরকারের। এমনকি, স্টেডিয়ামের ৫০ মিটার থ্রি পজ়িশনস শুটিং এরিনার নাম স্বপ্নিলের নামে করা উচিত ছিল। কিন্তু এগুলো সরকার কিছুই করেনি।”
এমনটা জানলে তিনি তাঁর পুত্রকে অন্য খেলায় পাঠাতেন বলেও জানিয়েছে সুরেশ। তিনি বলেন, “আমি যদি জানতাম এত সাফল্যের পরে এইটুকু পুরস্কার পাব তা হলে ওকে অন্য খেলায় পাঠাতাম। খুব সাধারণ পরিবার থেকে স্বপ্নিল উঠেছে বলে ওর সঙ্গে এই ব্যবহার করা হচ্ছে। ও যদি কোনও বিধায়ক বা মন্ত্রীর সন্তান হত তা হলেও কি স্বপ্নিল এই পুরস্কারই পেত?” যদিও বাবার এই দাবির বিষয়ে এখনও পর্যন্ত স্বপ্নিল কোনও মন্তব্য করেননি।