আমেরিকার পতাকা গায়ে জড়িয়ে বিশ্বের দ্রুততম মানব নোয়া লাইলস। ছবি: রয়টার্স।
প্যারিস অলিম্পিক্সের শেষ ইভেন্ট ছিল মহিলাদের বাস্কেটবল ফাইনাল। আয়োজক দেশ ফ্রান্সের বিরুদ্ধে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর সোনা জিতল আমেরিকা। সেই সোনাতেই পদক তালিকায় চিনকে টপকে গেল তারা। দু’দেশের সোনার সংখ্যা সমান হলেও বেশি রুপো ও ব্রোঞ্জ জেতার সুবাদে শীর্ষে আমেরিকা।
অলিম্পিক্সে পদক তালিকায় সাধারণত যে দেশ বেশি সোনা জিতেছে, তারাই সবার উপরে থাকে। দুই দেশের সোনার সংখ্যা সমান হলে, দেখা হয় কারা বেশি রুপো পেয়েছে। রুপোর সংখ্যা যাদের বেশি, তারা উপরে থাকে। সোনা, রুপো দু’টি সমান হলে কে বেশি ব্রোঞ্জ জিতেছে, তার ভিত্তিতে ক্রমতালিকা তৈরি হয়।
প্যারিসে আমেরিকা ৪০টি সোনা, ৪৪টি রুপো এবং ৪২টি ব্রোঞ্জ জিতে মোট ১২৬টি পদক পেয়েছে। চিনও ৪০টি সোনা জিতেছে। কিন্তু রুপোর (২৭) সংখ্যা আমেরিকার থেকে কম। ব্রোঞ্জ জিতেছে ২৪টি। মোট পদক ৯১। তৃতীয় স্থানে জাপান ২০টি সোনা, ১২টি রুপো এবং ১৩টি ব্রোঞ্জ জিতেছে। চতুর্থ স্থানে থাকা অস্ট্রেলিয়া ১৮টি সোনা, ১৯টি রুপো এবং ১৬টি ব্রোঞ্জ জিতে দেশের অলিম্পিক্স ইতিহাসে সর্বকালের সেরা পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছে। পাঁচে আয়োজক দেশ ফ্রান্স। তারা ১৬টি সোনা, ২৬টি রুপো এবং ২২টি ব্রোঞ্জ জিতেছে।
রবিবার আমেরিকা নেমেছিল ৩৮টি সোনা জিতে। চিনের (৩৯) থেকে একটি সোনা পিছিয়ে ছিল। চিন এ দিন মেয়েদের ভারোত্তোলনে আরও একটি সোনা জেতে। আমেরিকার হয়ে ৩৯তম সোনা জেতেন সাইক্লিস্ট তথা গত বারের সোনাজয়ী জেনিফার ভ্যালেন্টে। ফলে শেষ আশা ছিল মহিলাদের বাস্কেটবল দল।
১৯৯৬ সাল থেকে এক টানা মহিলাদের বাস্কেটবলে সোনা জিতেছে আমেরিকা। ফলে রবিবারও তারা অনায়াসে জিতবে বলে ধরে নিয়েছিলেন সকলেই। তা হল না। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত জোর টক্কর দিল ফ্রান্স। এক সময় মনে হচ্ছিল অঘটন ঘটিয়ে তারাই সোনা জিতবে। শেষ সেকেন্ডে বাজিমাত করে আমেরিকা। ৪০টি সোনা হয়ে যায় তাদের।
ভারত শেষ করেছে ৭১ নম্বরে। যদি বিনেশ ফোগাট রুপো পান, তা হলে ৬৮ নম্বরে উঠে আসবে তারা।