(বাঁ দিকে) সাক্ষী মালিক। পিভি সিন্ধু (ডান দিকে)। —ফাইল ছবি।
বিনেশ ফোগাটের ঘটনায় হতাশ ভারতের অন্য অলিম্পিয়ানেরা। পিভি সিন্ধু, সাক্ষী মালিকেরা ভাবতে পারছেন না এমন হতে পারে। খেলোয়াড় জীবনের কঠিনতম মুহূর্তে তাঁরা বিনেশের পাশে দাঁড়াচ্ছেন।
ফাইনালে ওঠার পরও মাত্র ১০০ গ্রাম ওজনের জন্য বিনেশকে বাতিল হয়ে যেতে হবে, ভাবতে পারেননি কেউই। বুধবার সকালে বিনেশের খবর শুনে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছেন দু’বারের অলিম্পিক্স পদকজয়ী সিন্ধু। মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত বিনেশকে সাহস দিয়ে সমাজমাধ্যমে তিনি লিখেছেন, ‘‘প্রিয় বিনেশ, তুমি আমাদের চোখে সব সময় চ্যাম্পিয়ন। খুব আশা করেছিলাম, তুমি সোনা জিতে ফিরবে। তোমার সঙ্গে খুব অল্প সময় কাটানোর সুযোগ হয়েছে আমার। সামনে থেকে দেখেছি এক জন মহিলা কী ভাবে প্রতি দিন উন্নতি করার জন্য লড়াই করে। তোমার লড়াই আমাকে অনুপ্রাণিত করে। সব সময় তোমার পাশে আছি। চাইব বিশ্বের সব শক্তি তোমার পাশে থাকুক।’’
রিয়ো অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছিলেন সাক্ষী। ভারতের প্রথম মহিলা কুস্তিগির হিসাবে অলিম্পিক্স পদক জয়ের কীর্তি গড়েছিলেন। গত বছর ব্রিজভূষণ শরণ সিংহের বিরুদ্ধে কুস্তিগিরদের একাংশের আন্দোলনে বিনেশের মতোই অন্যতম মুখ ছিলেন সাক্ষী। তিনি বলেছেন, ‘‘আমার মন খুব বিচলিত হয়ে রয়েছে। বিনেশের সঙ্গে যা হয়েছে, সেটা আমি কল্পনাও করতে পারি না। এ বারের অলিম্পিক্সে ভারতের যে সব খেলোয়াড়েরা গিয়েছে, তাদের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা হল বিনেশের। বুঝতে পারছি না কী করে এমন হল। সম্ভব হলে আমার পদকটা ওকে দিয়ে দিতাম।’’
দেশের বহু খেলোয়াড়ই কঠিন সময়ে বিনেশের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এই সময় তাঁকে সাহস দেওয়ার চেষ্টা করছেন। মানসিক ভাবে চাঙ্গা রাখার চেষ্টা করছেন। আবার সাইনা নেহওয়ালের মতো অনেকে মনে করছেন বিনেশের আরও সতর্ক থাকা উচিত ছিল।