সোনার হাসি। ১০০ মিটারে চ্যাম্পিয়ন হয়ে উল্লাস জুলিয়েন আলফ্রেডের। ছবি: রয়টার্স।
সেমিফাইনালের আগে জামাইকার শেলি অ্যান ফ্রেজ়ার-প্রাইস নাম তুলে নেওয়ায় সকলে ভেবেছিলেন হাসতে হাসতে সোনা জিতবেন শাকারি রিচার্ডসন। বিশ্বের দ্রুততম মানবী হবেন তিনি। কিন্তু হতাশ করলেন শাকারি। অলিম্পিক্সে মহিলাদের ১০০ মিটার দৌড়ে সোনা জিতলেন সেন্ট লুসিয়ার জুলিয়েন আলফ্রেড। ১০.৭২ সেকেন্ডে দৌড় শেষ করেন তিনি। দ্বিতীয় স্থানে শেষ করে রুপো জিতলেন শাকারি। ব্রোঞ্জ জিতলেন আমেরিকারই মেলিসা জেফারসন।
দৌড়ের আগে বৃষ্টি হওয়ায় ইভেন্ট শুরু হতে খানিকটা দেরি হয়। কিন্তু দৌড় শুরু হওয়ার পরে জুলিয়েনকে দেখে মনে হল না, ভিজে ট্র্যাকে দৌড়াতে কোনও সমস্যা হচ্ছে তাঁর। উড়লেন জুলিয়েন। শুরুতেই এগিয়ে যান। শেষ পর্যন্ত লিড ধরে রাখেন। অনেক চেষ্টা করেও জিততে পারেননি শাকারি। ১০.৭২ সেকেন্ডে শেষ করে জাতীয় রেকর্ডও গড়লেন জুলিয়েন। সোনা জেতার পরে জুলিয়েনের উল্লাস বুঝিয়ে দিচ্ছিল এই জয়ের গুরুত্ব তাঁর ও তাঁর দেশের কাছে কতটা।
শাকারি প্রতিযোগিতা শেষ করেন ১০.৮৭ সেকেন্ডে। অর্থাৎ, জুলিয়েনের থেকে অনেকটাই পিছনে শেষ করেন তিনি। মেলিসা শেষ করেন ১০.৯২ সেকেন্ডে। অনেক বছর পরে অলিম্পিক্সে দৌড়ে পদক তালিকায় জামাইকার কোনও ক্রীড়াবিদ নেই। ফ্রেজ়ার-প্রাইস নাম তুলে নেওয়ায় একমাত্র টিয়া ক্লেটন ছিলেন ফাইনালে। তিনি শেষ করেন সপ্তম স্থানে।
অলিম্পিক্সে সেন্ট লুসিয়া এর আগে পর্যন্ত কোনও পদক জিততে পারেনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের এই দ্বীপরাষ্ট্রের ট্রফি খরা কাটালেন জুলিয়েন। তা-ও রুপো বা ব্রোঞ্জ নয়, একেবারে সোনা জিতলেন তিনি। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, যে অলিম্পিক্সে জামাইকার কোনও পদক জয়ীকে দেখা গেল না সেই অলিম্পিক্সেই জন্ম নিলেন আর এক ক্যারিবীয় দ্বীপরাষ্ট্র সেন্ট লুসিয়ার দৌড়বিদ জুলিয়েন।