১০০ মিটার দৌড়ে শেষ করছেন আট প্রতিযোগী। সকলকে ছাপিয়ে সোনা জেতেন নোয়া লাইলস। ছবি: রয়টার্স।
প্যারিস অলিম্পিক্সে পুরুষদের ১০০ মিটার ফাইনালে ফোটো ফিনিশ হয়। দৌড় শেষ হওয়ার পরে বোঝা যাচ্ছিল না কে জিতেছেন। আমেরিকার নোয়া লাইলস ও জামাইকার কিশানে থম্পসন, দু’জনেই ৯.৭৯ সেকেন্ডে দৌড় শেষ করেন। শেষ পর্যন্ত নোয়ার নাম ঘোষণা করা হয়। একই সময়ে শেষ করেও কী ভাবে সোনা জিতলেন নোয়া?
দৌড় শেষ করার পরে নোয়া ও কিশানে দু’জনেই তাকিয়েছিলেন জায়ান্ট স্ক্রিনের দিকে। তাঁরা নিশ্চিত ছিলেন না কে জিতেছেন। সোনাজয়ীর নাম ঘোষণা করতে কয়েক সেকেন্ড সময় লাগে। শেষ পর্যন্ত নোয়া জেতেন। পরে জানা যায়, সেকেন্ডের হাজার ভাগ হিসাব করে নোয়াকে জয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। নোয়া সময় নিয়েছিলেন ৯.৭৮৪ সেকেন্ড। সেখানে থমসন সময় নিয়েছিলেন ৯.৭৮৯ সেকেন্ড। অর্থাৎ, .০০৫ সেকেন্ড আগে শেষ করায় নোয়া সোনা জিতেছেন। রুপো জিতেছেন কিশানে।
দীর্ঘ দিন পর আমেরিকা ১০০ মিটারে পেল সোনাজয়ী। ২০০৪ সালে জাস্টিন গ্যাটলিন শেষ বার সোনা জিতেছিলেন। তার পরে পেলেন নোয়া। ১৮৯৬ সালে অলিম্পিক্স শুরু হওয়ার পর থেকে প্রথম তিন বার সোনা জিতেছিল আমেরিকাই। ১০০ মিটারে ১৬টি সোনা রয়েছে আমেরিকার। এই দাপট বিশ্বের আর কোনও দেশের নেই। মাঝে জামাইকার কাছে পিছিয়ে পড়েছিল তারা। সেই দাপট আবার ফেরালেন নোয়া।
যে কোনও অলিম্পিক্সেই পুরুষদের ১০০ মিটার দৌড় নিয়ে আগ্রহ বেশি থাকে। প্যারিসও তার ব্যতিক্রম নয়। দিনের বাকি অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতা আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিল। এই ইভেন্টের আগে স্টেডিয়ামের সব আলো নিভিয়ে দেওয়া হয়। এর পর প্রায় মিনিট দুয়েক ধরে চলে লেজ়ারের খেলা। গোটা স্টেডিয়াম কানায় কানায় পূর্ণ। ফুটছিলেন সমর্থকেরা।
উত্তেজিত ছিলেন নোয়াও। দৌড় শুরু হওয়ার আগে তাঁর চোখ-মুখ দেখে তা বোঝা যাচ্ছিল। দৌড় শেষে কয়েক সেকেন্ড চিন্তায় পড়েন তিনি। তাঁর নাম সোনাজয়ী হিসাবে ঘোষণা করার পরে আবার সেই একই উল্লাস দেখা যায়। ট্র্যাক ধরে দৌড়াতে শুরু করেন নোয়া। তাঁর মা ও পরিবারের অন্য সদস্যেরা ছিলেন গ্যালারিতে। তাঁদের গিয়ে জড়িয়ে ধরেন নোয়া। ট্র্যাক ও ফিল্ডে যিনি সোনা জিতছেন তিনিই একটি ঘণ্টা (সেরিমোনিয়াল বেল) বাজাচ্ছেন। নোয়া আনন্দে ঘণ্টা বাজিয়েই যাচ্ছিলেন। থামানো যাচ্ছিল না তাঁকে।