উইনস্টন বেঞ্জামিন। ছবি: এক্স (টুইটার)।
প্যারিস অলিম্পিক্সে আমেরিকার জেতা ৪০টি সোনার একটি রাই বেঞ্জামিনের।আরও একটি সোনায় অবদান রয়েছে তাঁর। পুরুষদের ৪০০ মিটার হার্ডলসে সোনা জিতেছেন তিনি। তাঁর সাফল্যে আমেরিকার ক্রীড়াপ্রেমীদের মতোই খুশি অ্যান্টিগুয়ার মানুষও। ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের দ্বীপরাষ্ট্রে উৎসবের আবহ রাইয়ের সাফল্যে। বিশেষ করে সেখানকার ক্রিকেট মহলে।
রাই আদতে অ্যান্টিগুয়ার বংশোদ্ভুত। তাঁর বাবাও দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তিনি অবশ্য অ্যাথলিট ছিলেন না। ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে পরিচিত বেঞ্জামিনের বাবা। তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের প্রাক্তন জোরে বোলার উইনস্টন বেঞ্জামিন। ১৯৮৬ থেকে ১৯৯৫ পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের হয়ে ২১টি টেস্ট এবং ৮৫টি এক দিনের ম্যাচ খেলেছেন তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর ১৬১টি উইকেট রয়েছে। রাই অলিম্পিক্সে সোনা জেতায় উচ্ছ্বসিত বেঞ্জামিন। এই সাফল্যকে তিনি বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার সঙ্গে তুলনা করেছেন।
শুধু ৪০০ মিটার হার্ডলসে সোনা নয়। ৪x৪০০ মিটার রিলেতে সোনাজয়ী আমেরিকা দলেরও অন্যতম সদস্য ছিলেন রাই। অর্থাৎ তিনি দু’টি সোনার পদক নিয়ে ফিরেছেন প্যারিস থেকে। ছেলের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত প্রাক্তন জোরে বোলার বলেছেন, ‘‘অসম্ভব আনন্দ হচ্ছে। বলে বোঝাতে পারব না। ব্যক্তিগত ভাবে এমন কাউকে চিনি না, যাঁর সন্তান অলিম্পিক্স সোনা জিতেছে। রাইয়ের ৪০০ মিটার হার্ডলসে সোনা জেতার মুহূর্তটা দুর্দান্ত। জানি রাই কত কঠিন পরিশ্রম করেছে। তাই ওর এই সাফল্যে ভীষণ খুশি হয়েছি।’’
রাই বেঞ্জামিন। ছবি: এক্স (টুইটার)।
রাইয়ের জন্ম আমেরিকায়। অ্যাথলেটিক্স বেছে নেওয়ার আগে বাবার মতোই ক্রিকেট খেলতেন। আগ্রহ ছিল আমেরিকান ফুটবলেও। টোকিয়ো অলিম্পিক্সে ৪০০ মিটার হার্ডলসে রুপো পেয়েছিলেন। সোনা জিতেছিলেন নরওয়ের কার্স্টেন ওয়ারহোম। প্যারিসে সেই ওয়ারহোমকে পিছনে ফেলেই সোনা ছিনিয়ে নিয়েছেন রাই। ছেলেকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত বেঞ্জামিন বলেছেন, ‘‘রাই আমেরিকার নাগরিক। ওর জন্ম ও দেশেই। আমরাও আমেরিকার মানুষের মতোই উৎসব করছি। অলিম্পিক্সে ব্যক্তিগত ইভেন্টে সোনা জেতার মূল্য ওর কাছে কী, আমি জানি। রাই অসম্ভব পরিশ্রম করেছে। প্রস্তুতি কোনও সুযোগ হাতছাড়া করেনি। এই সাফল্যটা ওর প্রাপ্য ছিল।’’
রইয়ের সাফল্যে খুশির হাওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের ক্রিকেট মহলে। অনেকে বেঞ্জামিনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। প্রাক্তন ক্রিকেটার বলেছেন, ‘‘রাই কী ভাবে দৌড় শুরু করবে, সেটা নিয়ে একটু চিন্তায় ছিলাম। ফাইনালের দিন সকালে আমার উদ্বেগ নিয়ে রাইয়ের মায়ের সঙ্গেও কথা হয়েছিল। কারণ ওর প্রধান চ্যালেঞ্জার ওয়ারহোম পাশে ছিল না। তাকে নজরে রাখা কঠিন ছিল ওর পক্ষে। রাই সোনা জিতেছে নিজের লক্ষ্যে অবিচল থেকে। নিজের সেরাটা দিয়েই সাফল্য পেয়েছে।’’ ছেলে তাঁর মতো অ্যান্টিগুয়ার প্রতিনিধিত্ব করেন না। এ নিয়ে কোনও আক্ষেপ নেই বেঞ্জামিনের। তিনি মনে করেন রাইয়ের সাফল্য যতটা আমেরিকার, ততটাই অ্যান্টিগুয়ার।