কিনজ়াং লামো। ছবি: রয়টার্স।
প্যারিস অলিম্পিক্সে শেষ দিনের অন্যতম ইভেন্ট ছিল মহিলাদের ম্যারাথন। এই ইভেন্টের শেষ দু’টি স্থান পেয়েছেন নেপাল এবং ভুটানের প্রতিযোগী। ৮০ জন প্রতিযোগিতা দৌড় শেষ করতে পেরেছেন। ৭৯ নম্বরে শেষ করেছেন নেপালের সন্তোষী শ্রেষ্ঠা। আর সবার শেষে দৌড় শেষ করেছেন ভুটানের কিনজ়াং লামো। ৮০তম স্থান পেয়েও নজর কেড়ে নিয়েছেন লামো। তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ক্রীড়াপ্রেমীরা।
অলিম্পিক্সে মহিলাদের ম্যারাথনে ১১ জন প্রতিযোগী দৌড় শেষ করতে পারেননি। কেউ কেউ হাল ছেড়ে দেন শেষ দিকে। কিন্তু সবার শেষে থাকলেও দৌড় থামাননি ভুটানের লামো। ফিনিশিং লাইন পর্যন্ত সম্পূর্ণ রাস্তা দৌড়েছেন। সোনাজয়ী নেদারল্যান্ডসের সিফান হাসান দৌড় শেষ করার সময় লামো অর্ধেকের বেশি কিছু পথ অতিক্রম করেছিলেন। নেপালের সন্তোষী ৭৯ নম্বরে দৌড়ে শেষ করার সময়ও ফিনিশিং পয়েন্ট থেকে বহু দূরে ছিলেন লামো। তবু দৌড় থামাননি। হাসানের ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট ৪ সেকেন্ড পর দৌড় শেষ হয় তাঁর। এমনকি নেপালের সন্তোষীও লামোর ৫৭ মিনিট ৫৩ সেকেন্ড আগে শেষ করেন।
শেষ এক ঘণ্টা প্রায় একাই দৌড়েছেন ভুটানের প্রতিযোগী। তাঁর দৌড় শেষ হওয়ার জন্য অবশ্য অপেক্ষা করেছেন আয়োজকেরা। বহু দর্শককেও ফিনিশিং লাইনের কাছে অপেক্ষা করতে দেখা গিয়েছে লামোর জন্য। তিনি ফিনিশিং পয়েন্টের কাছাকাছি পৌঁছালে দর্শকেরা তাঁকে অভিনন্দন জানাতে শুরু করেন। দৌড় না থামানোর জন্য অনেকে উঠে দাঁড়িয়ে তাঁর চেষ্টাকে কুর্নিশ জানান। দর্শকদের অনুপ্রেরণায় শেষ দিকে দৌড়ের গতিও কিছুটা বৃদ্ধি করেন। সেই মুহূর্তের ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সমাজমাধ্যমে।
শেষ পর্যন্ত ৩ ঘণ্টা ৫২ মিনিট ৫৯ সেকেন্ডে ম্যারাথন শেষ করেন লামো। এটাই তাঁর জীবনের সেরা সময়। এই ইভেন্টে বিশ্বরেকর্ডের মালিক ইথিয়োপিয়ার টিজেস্ট আসেফার। তিনিও সোনা জিততে পারেননি। হাসান প্রথম হয়েছেন ২ ঘণ্টা ২২ মিনিট ৫৫ সেকেন্ডে দৌড় শেষ করে।