কেটি লেডেকি। ছবি: এক্স (টুইটার)।
অলিম্পিক্সে আরও একটি সোনা জিতলেন কেটি লেডেকি। আমেরিকার সাঁতারুর অলিম্পিক্স সোনার সংখ্যা হল নয়। প্যারিসে মহিলাদের ৮০০ মিটার ফ্রিস্টাইলে সোনা জিতে নতুন নজির গড়লেন তিনি। বিশ্বের দ্বিতীয় সাঁতারু হিসাবে টানা চারটি অলিম্পিক্সে এই ইভেন্টে সোনা জিতলেন লেডেকি।
২০১২ সালে লন্ডন অলিম্পিক্সে ১৫ বছর বয়সে প্রথম অলিম্পিক্স সোনা জিতেছিলেন লেডেকি। ১২ বছর পর প্যারিসেও অব্যাহত তাঁর স্বর্ণ অভিযান। অস্ট্রেলিয়ার আরিয়ার্নে টিটমাসকে পিছনে ফেলে অলিম্পিক্সে নবম সোনা জিতেছেন লেডেকি। অলিম্পিক্সের ইতিহাসে মহিলা প্রতিযোগীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সোনা জয়ের রেকর্ড ছিল জিমন্যাস্ট লারিসা লাতিনিনার। তিনি ১৯৫৬ থেকে ১৯৬৪ পর্যন্ত তিনটি অলিম্পিক্সে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। ৮০০ মিটার ফ্রিস্টাইলের সাফল্যে লেডেকিকে তাঁর পাশে বসাল। নবম সোনা জয়ের পথে লেডেকি সময় নিয়েছেন ৮ মিনিট ১১.০৪ সেকেন্ড। টিটমাস পেয়েছেন রুপো। ব্রোঞ্জ পেয়েছেন আমেরিকার পেইজ ম্যাডেনা। এ বারের অলিম্পিক্সে দ্বিতীয় সোনা জিতলেন লেডেকি। ষষ্ঠ ক্রীড়াবিদ হিসাবে অলিম্পিক্সে ন’টি সোনার পদক পেলেন আমেরিকার সাঁতারু। এই কৃতিত্ব লাতিনিনা ছাড়াও রয়েছে মার্ক স্পিৎজ, কার্ল লুইস, পাভো নুরমির। ২৩টি সোনা জিতে সকলের আগে রয়েছেন মাইকেল ফেলপস।
কীর্তি গড়ে উচ্ছ্বসিত ২৭ বছরের লেডেকি বলেছেন, ‘‘প্রতি অলিম্পিক্সে ৩ অগস্ট আমি সোনার পদক জিতেছি। এ বারও সোনা জেতার পর মনে পড়ল তারিখটা। মনে হল, যাক নিজের কাজটা ঠিক মতো করতে পেরেছি।’’ তাঁর কাছে হেরে রুপো পাওয়া অস্ট্রেলিয়ার টিটমাস বলেছেন, ‘‘লেডেকি যখন প্রথম অলিম্পিক্স সোনা জিতেছিল, তখন ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়তাম। এখনও ওই সেরা। এত বছর ধরে শীর্ষস্থান ধরে রাখা শুধু কঠিন নয়। অবিশ্বাস্য।’’
শুধু অলিম্পিক্স নয়, সাঁতারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপেও ২১টি সোনা রয়েছে লেডেকির। এ বার প্যারিসে নতুন অলিম্পিক্স রেকর্ড করে সোনা জিতেছেন ১৫০০ মিটার ফ্রিস্টাইলে। এই অলিম্পিক্সে তাঁর সোনার সংখ্যায় ছুঁয়ে ফেলতে পারেন স্বদেশীয় জিমন্যাস্ট সিমোন বাইলস। এখনও পর্যন্ত সাতটি সোনা জেতা বাইলসের আরও দু’টি ফাইনাল বাকি।