টেস্টে শামিকে এই মূর্তিতেই দেখতে চাইছে ভারতীয় শিবির। —ফাইল চিত্র।
সমালোচকদের তীব্র আক্রমণ করে যশপ্রীত বুমরার পাশে দাঁড়ালেন মহম্মদ শামি। তাঁর মতে, এখন ক্রিকেটারদের সমালোচনা করে অর্থ উপার্জন করছেন অনেকে। তাঁর মতে, চোটের জন্য দীর্ঘদিন বাইরে থাকার পর ফিরেই সেরা ফর্মে বল করা কঠিন।
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সদ্যসমাপ্ত ওয়ানডে সিরিজের তিন ম্যাচেই কোনও উইকেট পাননি যশপ্রীত বুমরা। সার্বিক ভাবে পিঠের চোট সারিয়ে ওঠার পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে ৫০ ওভারের ফরম্যাটে মাত্র একটি উইকেট নিয়েছেন তিনি। তবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে তুলনায় বুমরার পারফরম্যান্স ভাল। এই বছরে সাত টি-টোয়েন্টিতে আট উইকেট নিয়েছেন বুমরা। তবে নিউজিল্যান্ড একাদশের বিরুদ্ধে তিন দিনের ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে ছন্দে দেখিয়েছে তাঁকে। নিয়েছেন দুই উইকেট। ১১ ওভার বল করে দিয়েছেন মোটে ১৮ রান।
দিনের শেষে তিন উইকেট নিয়ে ভারতের সফলতম পেসার শামি বলেছেন, “মাঠের বাইরে থেকে কারও সমালোচনা করা সোজা। কিন্তু দলে প্রত্যাবর্তনের জন্য প্রচণ্ড মানসিক শক্তির প্রয়োজন। এখন অবশ্য ক্রিকেটারদের সমালোচনা করেই উপার্জন করছে অনেকে। দেশের হয়ে বুমরা যা অবদান রেখেছে, তা কী ভাবে ভুলে যাওয়া যায় বা উপেক্ষা করা যায়? বুমরাকে নিয়ে কথা বলছে ঠিক আছে, কিন্তু তিন-চারটে ম্যাচেই কি ফলাফল পাওয়া যায়? আমার মনে হয় ইতিবাচক দিকগুলোই দেখা উচিত। কারণ তাতেই উপকার হয় ক্রিকেটারদের।”
আরও পড়ুন: শামি-বুমরাদের দাপটে ২৩৫ রানেই শেষ নিউজিল্যান্ড একাদশ
আরও পড়ুন: আর দু’-এক জনের উপর নির্ভরশীল নয় দল, বলছেন বাংলার অধিনায়ক
শামিকে শেষ দুই একদিনের ম্যাচে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল দলের তরফে। প্রস্তুতি ম্যাচে তাঁকে অবশ্য ছন্দে দেখাল। শামি বলেছেন, “লাল বল নাকি সাদা বলে খেলছি, তা ভাবি না। কারণ, নিজের স্কিল সম্পর্কে ধারণা রয়েছে আমার। আমরা সবাই পরিণত আর অভিজ্ঞ। উইকেট পাই বা না পাই, ভাল জায়গায় বল করে যেতে হবে আমাদের। প্রত্যেক ফরম্যাটেই অভিজ্ঞতার মূল্য রয়েছে। কারণ, চাপের মধ্যে তা হলেই আতঙ্ক এড়ানো যায়। অভিজ্ঞদের সঙ্গে নতুনরা থাকলে ওরাও দ্রুত পরিণত হয়।”