(বাঁদিকে) রাফায়েল নাদাল এবং নোভাক জোকোভিচ। —ফাইল চিত্র।
২০২৩ সালের শুরুতে নোভাক জোকোভিচের গ্র্যান্ড স্ল্যামের সংখ্যা ছিল ২১। আর রাফায়েল নাদালের গ্র্যান্ড স্ল্যামের সংখ্যা ছিল ২২। গোটা বছর চোটের জন্য খেলতে পারেননি নাদাল। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে জোকার গ্র্যান্ড স্ল্যামের সংখ্যা করে নিয়েছেন ২৪। তবু চোট সারিয়ে ফিরে আসা অন্যতম প্রধান প্রতিপক্ষকে স্বাগত জানালেন সার্বিয়ার টেনিস খেলোয়াড়।
গত বছর অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের পর আর খেলতে পারেননি নাদাল। পিঠ, পা এবং পেটের পেশির চোটের জন্য ছিটকে যান। অস্ত্রোপচার করিয়ে ফিট হয়ে আবার নতুন বছরে কোর্টে ফিরেছেন নাদাল। ব্রিসবেন ইন্টারন্যাশনালের প্রথম রাউন্ডে ডমিনিক থিয়েমকে হারিয়ে প্রিকোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছেন নাদাল। কোর্টে তাঁর প্রত্যাবর্তনকে স্বাগত জানিয়েছেন জোকোভিচ। বিশ্বের এক নম্বর টেনিস খেলোয়াড় সমাজমাধ্যমে ব্রিসবেন ইন্টারন্যাশনালে খেলা নাদালের ছবি দিয়ে লিখেছেন, ‘‘ওয়েলকাম ব্যাক’’। অর্থাৎ, নাদালের ফিরে আসাকে স্বাগত জানিয়েছেন জোকার।
পুরুষদের পেশাদার টেনিসে গত এক দশক ধরে রাজত্ব করেছেন তিন জন। তাঁদের মধ্যে রজার ফেডেরার অবসর নিয়েছেন। খেলছেন জোকোভিচ এবং নাদাল। তাঁদের মধ্যে প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা অজানা নয় ক্রীড়াপ্রেমীদের। নাদালের অনুপস্থিতিতে ২০২৩ সালে তিনটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতেছেন জোকোভিচ। আলোচনায় উঠে আসা তরুণ খেলোয়াড়েরা থামাতে পারেননি তাঁকে। চোট সারিয়ে ফিরে আসা নাদাল অবশ্য তাঁকে থামাতে পারেন। তবু খেলোয়াড় সুলভ মনোভাবের পরিচয় দিলেন জোকোভিচ।
প্রতিপক্ষ হলেও ফেডেরার, নাদাল এবং জোকোভিচের মধ্যে সম্পর্ক ভাল। বন্ধুত্ব এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধা রয়েছে তাঁদের মধ্যে। সকলেই স্বীকার করেন, বাকি দু’জন তাঁর টেনিসজীবনকে পূর্ণতা দিয়েছেন।