Novak Djokovic

Novak Djokovic: জোকোভিচকে বন্দি করে রাখা হয়েছে, ও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার, বিস্ফোরক দাবি বাবার

যত সময় যাচ্ছে, নোভাক জোকোভিচকে নিয়ে সমস্যা তত বাড়ছে। জানা গিয়েছে, সার্বিয়ার তারকাকে হোটেলে কার্যত ‘বন্দি’ করে রেখেছে সে দেশের অভিবাসন দপ্তর।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২২ ২১:২১
Share:

বন্দী জোকোভিচ? ফাইল ছবি

যত সময় যাচ্ছে, নোভাক জোকোভিচকে নিয়ে সমস্যা তত বাড়ছে। জানা গিয়েছে, সার্বিয়ার তারকাকে হোটেলে কার্যত বন্দি করে রেখেছে সে দেশের অভিবাসন দপ্তর। মারাত্মক এই অভিযোগ তুলেছেন জোকোভিচের বাবা সার্জিয়ান। পাশাপাশি, যে হোটেলে তাঁকে রাখা হয়েছে সেখানকার খাবারও নাকি মুখে তোলার অযোগ্য। সব মিলিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় জোকোভিচকে ঘিরে পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।

Advertisement

ভিসায় সমস্যা থাকায় বুধবার রাতে মেলবোর্নে পৌঁছলেও জোকোভিচকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তাঁকে দেশে ফেরানোর কথা বলেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আবেদন করেছিলেন জোকোভিচ। তবে সোমবারের আগে প্রাদেশিক আদালতে কোনও শুনানি সম্ভব নয়। ফলে ততদিন জোকোভিচকে অস্ট্রেলিয়াতেই থাকতে হবে। এর পরেই বিমানবন্দর থেকে অভিবাসন দপ্তরের আধিকারিকরা তাঁকে স্থানীয় পার্ক হোটেলে নিয়ে যান।

সার্জিয়ান অভিযোগ করেছেন, “জোকোভিচকে বন্দী করে রাখা হয়েছে। ওরা শুধু জোকোভিচকে নয়, গোটা সার্বিয়াকে দমন করতে চাইছে। মরিসন এ-ও বলেছেন, গোটা সার্বিয়াকে হাঁটু মুড়ে ক্ষমা চাইতে হবে। কিন্তু সার্বিয়া তা করবে না, কারণ দেশ হিসেবে ওরা গর্বিত। খেলাধুলোর সঙ্গে ওকে আটকে রাখার কোনও সম্পর্ক নেই। এটা পুরোপুরি রাজনৈতিক অভিসন্ধি। নোভাক বিশ্বের সেরা টেনিস খেলোয়াড় এবং ক্রীড়াবিদ। কিন্তু পশ্চিমী দুনিয়া সেটা হজম করতে পারে না। তাই এ রকম ব্যবহার করছে।”

Advertisement
আরও পড়ুন:
আরও পড়ুন:

শুধু তাই নয়, সার্জিয়ান নিজের ছেলেকে ‘স্পার্টাকাস’-এর সঙ্গে তুলনা করেছেন, যে ‘অবিচার, ঔপনিবেশিকতা এবং ভণ্ডামি সহ্য করতে পারে না।’ জোকোভিচের মা দিয়ানা এই ঘটনাকে ‘কলঙ্কজনক’ বলে অভিহিত করে লিখেছেন, ‘ওর ডানা ছাঁটার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু আমরা জানি ও কতটা শক্তিশালী।’

এর মধ্যেই জানা গিয়েছে, জোকোভিচকে যে হোটেলে রাখা হয়েছে সেখানকার খাবার খাওয়ার অযোগ্য। সম্প্রতি মুস্তাফা সালাহ নামে এক ব্যক্তি হোটেলের খাবারের ছবি পোস্ট করেছিলেন, যেখানে মাংস এবং ব্রকোলির মধ্যে জীবন্ত পোকা নড়াচড়া করতে দেখা গিয়েছে। খাবারও নাকি পচা! সালাহ বলেছিলেন, সেই খাবার খেলে প্রাণসংশয়ও হতে পারে। হোটেলে থাকতে গেলে ওই খাবারই খেতে হবে, কারণ সেখানে বাইরের খাবার আনা নিষিদ্ধ।

গত মাসে দু’বার ওই হোটেলে আগুন লেগেছিল। মরতে মরতে প্রাণে বেঁচেছেন অনেকে। সালাহর দাবি, সেই হোটেলে নিজেকে খাঁচায় বন্দি পশুর মতো মনে হয়। কোনও নিরাপত্তা বা নিয়ম নেই। এমনকী কেউ অসুস্থ হলে দেখার মতো ডাক্তারও নেই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement