নোভাক জোকোভিচ এবং রাফায়েল নাদাল। —ফাইল চিত্র।
অলিম্পিক্সের টেনিস নিয়ে একেবারেই খুশি নন নোভাক জোকোভিচ ও রাফায়েল নাদাল। জোকোভিচ বিরক্ত প্রতিযোগিতার নিয়ম নিয়ে, নাদাল ক্ষুব্ধ সূচি নিয়ে। নাদাল তো প্রতিযোগিতা থেকে নামও তুলে নিতে পারেন। ফলে দ্বিতীয় রাউন্ডে দু’জনের মুখোমুখি লড়াই না-ও দেখা যেতে পারে।
বিশ্ব ক্রমতালিকায় দ্বিতীয় স্থানে জোকোভিচ। তাঁকে প্রথম রাউন্ডে খেলতে হল ম্যাথু এবডেনের বিরুদ্ধে, যিনি মূলত ডাবলস খেলোয়াড়। গত দু’বছরে কোনও সিঙ্গলস ম্যাচ খেলেননি। অলিম্পিক্সের একটি নিয়মের কারণে অস্ট্রেলিয়া বাধ্য হয়েছে ডাবলসের খেলোয়াড়কে সিঙ্গলসে খেলাতে। তা পছন্দ নয় জোকোভিচের। অন্য দিকে, রাফায়েল নাদাল খুশি হতে পারছেন না অলিম্পিক্সের সূচি নিয়ে।
এবডেনের বিরুদ্ধে জোকোভিচ জেতেন ৬-০, ৬-১ গেমে। মাত্র ৫৩ মিনিটে হেরে যান অস্ট্রেলিয়ার প্রতিযোগী। গোটা ম্যাচে এবডেনকে দেখা যায় মশকরা করতে। বাধ্য হয়ে সিঙ্গলস খেলতে নামা টেনিস খেলোয়াড় দ্বিতীয় সেটের একটি গেম জিতে উৎসব করেন। কখনও আবার এক সমর্থককে বলেন তাঁর হয়ে ম্যাচটি খেলার জন্য। ম্যাচ শেষে বিরক্ত জোকোভিচ বলেন, “অনেক সিঙ্গলস খেলোয়াড় আছেন। তাঁদের সুযোগ দেওয়া যেত। আমি জানি না কেন এক জন ডাবলসের খেলোয়াড়কে এখানে খেলতে বাধ্য করা হল। আন্তর্জাতিক টেনিস ফেডারেশন এবং অলিম্পিক্স কমিটির এটা নিয়ে ভাবা উচিত। নিয়ম বদল করা উচিত। এবডেনদের জন্য কঠিন হয়ে যায় কাজটা।”
নিয়মটা কী?
প্যারিস অলিম্পিক্সের নিয়ম অনুযায়ী ১৯ জুলাইয়ের পর কোনও খেলোয়াড়কে বদলি করা যাবে না। যাঁরা দলে রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে থেকেই নিতে হবে। সেই কারণে অ্যান্ডি মারে, জ্যানিক সিনারেরা সিঙ্গলস থেকে নাম তুলে নেওয়ায় ডাবলসের খেলোয়াড়েরা খেলতে বাধ্য হচ্ছেন। এবডেন ডাবলস খেলোয়াড়। তিনি তিনটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতেছেন। প্যারিস অলিম্পিক্সে এবডেন খেলবেন জন পিয়ার্সকে সঙ্গে নিয়ে। তাঁর দেশ পদক জয়ের আশায় রয়েছে। কিন্তু সিঙ্গলসসে সেটা সম্ভব নয়।
অন্য দিকে, নাদাল সিঙ্গলস খেলতে পারবেন কি না তা নিশ্চিত নয়। ডাবলসে খেলতে নেমে চোট পেয়েছেন তিনি। কার্লোস আলকারাজ়কে সঙ্গে নিয়ে জিতেছিলেন নাদাল। শনিবার নাদালের ডাবলস ম্যাচ ছিল। রবিবার খেলতে হবে সিঙ্গলসে। কিন্তু সেখানে খেলবেন কি না তা স্পষ্ট নয়। নাদাল বলেন, “কাল কী হবে জানি না। খেলতে পারব কি না বুঝতে পারছি না। দল যেটা ভাল বুঝবে, সেটা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেব। স্পেনের জন্য মেডেল জিততে যেটা প্রয়োজন, সেটাই করা হবে। তবে দুপুর ২টোয় (ফ্রান্সের সময় অনুযায়ী) ম্যাচ। জানি না কেন এমন সূচি। দুপুর দুটোর সময় খেলা কঠিন হয়।”