Neymar

জার্সি খুলে শাস্তির মুখে নেমার

ব্রাজিলীয় তারকাকে যদি নিভৃতবাসে যেতে হয়, তা হলে তাঁর ফাইনালে খেলার কোনও প্রশ্নই নেই। কারণ, লিসবনে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল রবিবার।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০২০ ০৫:৫৫
Share:

উড়ন্ত: পিএসজির প্রথম গোল করার পরে নেমারের সঙ্গে অভিনব উৎসব মারকুইনোজের (বাঁ-দিকে)। এএফপি

উয়েফার স্বাস্থ্যবিধি ভেঙে শাস্তির মুখে নেমার দা সিলভা স্যান্টোস (জুনিয়র)। মঙ্গলবার রাতে লিসবনে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে লাইপজ়িসকে ৩-০ হারানোর পরে প্যারিস সাঁ জারমাঁ তারকা প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডার মার্সেল হালস্টেনবার্গের সঙ্গে জার্সি বিনিময় করেন। ফলে অনিশ্চিত হয়ে পড়লেন ফাইনালে।

Advertisement

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে ফুটবলের নিয়মে একাধিক পরিবর্তন এসেছে। এখন ম্যাচের আগে বা পরে কেউ কারও সঙ্গে হাত মেলাতে পারবেন না। গোলের পরে উৎসবের সময় শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। রিজার্ভ বেঞ্চে পাশাপাশি বসা যাবে না। ফুটবলার ও ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে যাঁরা রয়েছেন, তাঁরা ছাড়া সকলকেই মুখাবরণ পরতে হবে। এমনকি, ম্যাচ শেষে ফুটবলাররা একে অপরের সঙ্গে জার্সি বিনিময়ও করতে পারবেন না। কারণ, এতে সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে। উয়েফার নতুন নিয়মে স্পষ্ট বলা হয়েছে, ম্যাচের পরে জার্সি বদল করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হবে। এখানেই শেষ নয়। ১২ দিনের নিভৃতবাসেও থাকতে হবে সংশ্লিষ্ট ফুটবলারকে। যাবতীয় নির্দেশ উপেক্ষা করেই নেমার জার্সি বিনিময় করেছেন হালস্টেনবার্গের সঙ্গে।

এই পরিস্থিতিতে ব্রাজিলীয় তারকাকে যদি নিভৃতবাসে যেতে হয়, তা হলে তাঁর ফাইনালে খেলার কোনও প্রশ্নই নেই। কারণ, লিসবনে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল রবিবার। তাই উদ্বেগ বাড়ছে পিএসজি শিবিরে। কারণ, মঙ্গলবার রাতে লাইপজ়িসের বিরুদ্ধে দুরন্ত জয়ের নেপথ্যে অন্যতম কারিগর ব্রাজিলীয় তারকা। তাঁকে ঘিরেই প্রথম বার ইউরোপ সেরা হওয়ার স্বপ্ন দেখছে প্যারিসের ক্লাব। নেমারকে নিয়ে উদ্বেগের মধ্যেই ফাইনাল ম্যাচের প্রস্তুতিতে বুধবার মাঠে নেমে পড়েছেন পিএসজি ম্যানেজার থোমাস টুহেল। বলেছেন, ‘‘চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালই হবে আমার জীবনের সব চেয়ে কঠিন পরীক্ষা।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement