সম্মানিত রঘু নন্দী।
কলকাতা ময়দানের পোড়খাওয়া কোচ রঘু নন্দীর নামে তৈরি করা হল ফ্যান্স ক্লাব। সেই সঙ্গে তাঁর নামে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপও তৈরি করেছে জঙ্গলমহলের শালবনি ব্লকের সাতপাটী নেতাজি স্পোর্টিং ক্লাব। ক্লাবের সদস্য মানস চক্রবর্তী ও অমলেশ চক্রবর্তীর উদ্যোগেই তৈরি করা হয়েছে রঘু নন্দী ফ্যান্স ক্লাব।
জায়ান্ট কিলার হিসেবে ময়দানে সুনাম রয়েছে রঘুর। ইস্ট-মোহনকে বহুবার মাটি ধরিয়েছেন তিনি। ময়দানের ছোট ক্লাবের এ হেন বড় কোচকে স্বাধীনতা দিবসে সম্মান জানাল শালবনি ব্লকের নেতাজি স্পোর্টিং। ক্লাবের সদস্য মানসবাবু শুক্রবার বলেন, ‘‘রঘুদার সঙ্গে আমাদের বহুদিনের সম্পর্ক। এক মহালয়ার দিনে কলকাতা থেকে ট্রায়াল নিতে জঙ্গলমহলে চলে আসেন রঘুদা। আমরা তো দেখে অভিভূত হয়ে গিয়েছিলাম। মহালয়ার দিনে এ ভাবে কেউ যে চলে আসতে পারেন, তা আমরা ভাবতেই পারিনি। তখনই উপলব্ধি করি মানুষটার রক্তে ফুটবল। আমাদের দুটো ছেলে কলকাতায় খেলেছিল। তখন থেকেই রঘুদার সঙ্গে আমাদের নিবিড় যোগাযোগ। রঘুদার পরিবারের সঙ্গেও আমাদের একটা পারিবারিক সম্পর্ক তৈরি হয়ে গিয়েছে।’’
গত বছর নিবেদিতা গোল্ড কাপের আয়োজন করেছিল নেতাজি স্পোর্টিং ক্লাব। সেই টুর্নামেন্টের জন্য কলকাতার চারটি ক্লাবকে এনেছিলেন বেহালা সাংস্কৃতিক সম্মিলনী-র (বিএসএস) কোচ রঘু। সেই প্রসঙ্গে মানসবাবু বলছেন, ‘‘টুর্নামেন্ট শেষ করে গিয়েছিলেন রঘুদা। অনেক বড় প্লেয়ার রয়েছেন কিন্তু রঘুদার মতো কাউকে দেখিনি। বিনা পারিশ্রমিকে আমাদের অ্যাকাডেমির শিক্ষীর্থীদের শেখান। যখনই ওঁকে ডেকেছি, তখনই আমাদের ডাকে সাড়া দিয়ে চলে এসেছেন। এরকম মানুষকেই তো সম্মান জানানো উচিত। সেই কারণেই আমরা স্থির করি রঘুদার নামে একটা ফ্যান্স ক্লাব এবং হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ চালু করব। এখন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে মেম্বারের সংখ্যা কম। কিন্তু, আগামী দিনে সংখ্যা আরও বাড়বে।’’ যাঁকে নিয়ে এই উদ্যোগ, সেই রঘু নন্দী বিনীতভাবে বলছেন, ‘‘যে সম্মান ওদের কাছ থেকে পেয়েছি, তা ভাষায় প্রকাশ করার ক্ষমতা আমার নেই। আমি অভিভূত।’’
জঙ্গলমহল গোল্ড কাপে উপস্থিত রঘু নন্দী।
এ দিকে শনিবার কলকাতা লিগে ইস্টবঙ্গলের ম্যাচ পিছিয়ে গেল। রঘুর দল বিএসএস-এর সঙ্গে খেলা ছিল লাল-হলুদ শিবিরের। কিন্তু, ডুরান্ড কাপের সেমিফাইনালের জন্য সেই ম্যাচ পিছিয়ে দেওয়া হল। চলতি মাসের ২১ তারিখ ডুরান্ড কাপের সেমিফাইনালে ইস্টবেঙ্গলের সামনে গোকুলম। ডুরান্ডের শেষ চারের লড়াইয়ে পূর্ণশক্তির দল নিয়ে লাল-হলুদ শিবির যাতে নামতে পারে, সেই কারণেই ডুরান্ড কর্তৃপক্ষ আইএফএ ও ইস্টবেঙ্গলকে মেল করে ম্যাচ পিছনোর অনুরোধ করে। ডুরান্ড কর্তৃপক্ষের অনুরোধ ফেলতে পারেনি বঙ্গীয় ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা।