নোভাক জোকোভিচ। ছবি: রয়টার্স।
অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের সেমিফাইনালে জিততে পারলে নতুন নজির গড়তে পারতেন নোভাক জোকোভিচ। ইয়ানিক সিনারের কাছে জোকোভিচ হারলেন ১-৬, ২-৬, ৭-৬ (৮-৬), ৩-৬ ব্যবধানে। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে টানা ৩৩টি ম্যাচ জিতেই থামতে হল ২৪টি গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিককে। ভাঙতে পারলেন না নিজের আদর্শের রেকর্ড।
১৯৯৯ সালে সেমিফাইনালেই হেরে গিয়েছিলেন মনিকা সেলেস। তার আগে জিতেছিলেন টানা ৩৩টি ম্যাচ। জোকোভিচও শুক্রবারের আগে পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে টানা ৩৩টি ম্যাচ জিতেছেন। ওপেন যুগে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে টানা ম্যাচ জেতার সর্বোচ্চ নজির এটাই। ফলে নিজের আদর্শকে টপকে নতুন রেকর্ড গড়া হল না জোকারের। অক্ষত থেকে গেল ২৫ বছর আগের রেকর্ড।
কোয়ার্টার ফাইনালে জেতার পর জোকোভিচকে মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছিল, সার্বিয়ারই (পরে আমেরিকার বাসিন্দা) প্রাক্তন খেলোয়াড় মনিকা সেলেসের রেকর্ডের কথা। জোকোভিচ বলেছিলেন, ‘‘সেলেস আমার ছোটবেলার অন্যতম নায়ক। আদর্শ। সেলেসের খেলা মন দিয়ে দেখতাম। ওর খেলা দেখেই আমার টেনিস শেখা। খেলোয়াড়জীবনে সেলেসের সব কিছুই ছিল টেনিসকে ঘিরে। আমি সেটাই রপ্ত করার চেষ্টা করেছি। প্রথম বার যখন সেলেসের সঙ্গে দেখা হয়েছিল, বেশ ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। যদিও সেলেস আমার ভাষাতেই কথা বলেছিলেন। কারণ তাঁরও জন্ম সার্বিয়াতেই। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে সেলেসের রেকর্ড দেখার মতো। তাঁর মতো খেলোয়াড়ের রেকর্ডের সঙ্গে আমার নাম জুড়ে যাওয়ায় দারুণ লাগছে। আমি সত্যিই উচ্ছ্বসিত।’’
ওপেন যুগে টানা গ্র্যান্ড স্ল্যামের ম্যাচ জেতার রেকর্ড রয়েছে মার্টিনা মাভ্রাতিলোভার দখলে। উইম্বলডনে টানা ৪৭টি ম্যাচ জেতার নজির রয়েছে তাঁর। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন বিয়ন বর্গ। তিনি টানা ৪১টি ম্যাচ জিতেছিলেন উইম্বলডনেই। তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন রজার ফেডেরার। তিনি টানা ৪০টি ম্যাচ জিতেছেন উইম্বলডন এবং ইউএস ওপেনে।