বেন স্টোকস। —ফাইল চিত্র।
ইংল্যান্ডের স্পিনার শোয়েব বশির ভারতের ভিসা না পাওয়ায় জলঘোলা কম হয়নি। হায়দরাবাদে টেস্ট শুরুর আগে বেন স্টোকসেরা অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন প্রকাশ্যে। যদিও ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) ভুলেই সময় মতো ভিসা পাননি বশির। তা নিয়ে ইংরেজদের পাল্টা বিঁধলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার বেঙ্কটেশ প্রসাদ।
বশির ভিসা না পাওয়ায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকেও ভারতের সমালোচনা করা হয়। ব্রিটিশ সরকারের অভিযোগ ছিল, বশির পাকিস্তানের বংশোদ্ভূত হওয়ায় তাঁর ভিসা নিয়ে টালবাহানা করা হচ্ছে। সেখানকার সংবাদপত্রগুলিও ভারতের সমালোচনা করে। পরে জানা যায়, তাঁর ভিসার আবেদনে ব্রিটিশ প্রশাসনের স্ট্যাম্প দেওয়া ছিল না। সে কারণেই তাঁর আবেদন মঞ্জুর করেনি ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। বশির লন্ডনে ফিরে প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পরই ভারতের ভিসা পেয়ে গিয়েছেন। প্রথম বার বিদেশ সফরে যাওয়া তরুণ স্পিনারের ভিসা পেতে দেরি হওয়ার কারণ ছিল ইসিবির ভুল। যা পরে কার্যত স্বীকারও করে নিয়েছেন ইংল্যান্ডের ক্রিকেট কর্তারা। সব কিছু না জেনে ইংরেজরা পরিবেশ উত্তপ্ত করায় তাঁদের সমালোচনা করেছেন প্রসাদ।
সমাজমাধ্যমে ইংরেজদের একহাত নিয়েছেন ভারতের প্রাক্তন জোরে বোলার। লন্ডনের একটি সংবাদমাধ্যমের পোস্টের জবাবে চাঁচাছোলা ভাবে তিনি লিখেছেন, ‘‘বশিরের ভিসায় উইনাইটেড কিংডমে স্ট্যাম্প ছিল না। তৃতীয় কোনও দেশের স্ট্যাম্পে কাজ হয়ে যাবে মনে করে ইসিবি তাকে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে পাঠিয়ে দেয়। প্রাথমিক পদ্ধতিই অনুসরণ করা হয়নি এ ক্ষেত্রে। ধারণার ভিত্তিতে ভুল করে বোকার মতো কান্নাকাটি করা ইংরেজদের পুরনো অভ্যাস। ভুলটা আসলে ইসিবির ছিল।’’
প্রস্তুতির জন্য দলের সঙ্গে বশির আবুধাবিতে এলেও ভারতে আসতে পারেননি। দল ভারতে চলে আসার পর দু’দিন আবুধাবিতেই ছিলেন তিনি। পরে তাঁকে ফিরতে হয় দেশে। ২০ বছরের অফ স্পিনারের এখনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়নি। ভারতের পিচের কথা মাথায় রেখে প্রতিভাবান তরুণকে দলে রেখেছেন ইংল্যান্ডের নির্বাচকেরা।