অপেক্ষা: ইপিএল শুরু হওয়ার দিকে তাকিয়ে সালাহ-ক্লপেরা। ফাইল চিত্র
বুন্দেশলিগার মতো এ মাসেই ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ শুরুর করার ভাবনা ধাক্কা খেল সোমবার। ইংল্যান্ডের সরকারই ঘোষণা করে দিল, ১ জুনের আগে কোনও ভাবেই সে দেশে কোনও খেলা শুরু করা যাবে না।
এ দিনই সরকার একটি পঞ্চাশ পাতার নির্দেশিকা জারি করেছে, কী ভাবে ধাপে ধাপে লকডাউন উঠবে ইংল্যান্ডে। সেই নির্দেশিকায় দ্বিতীয় ধাপে রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং খেলাধুলো চালু করার ভাবনা। কিন্তু সেই দ্বিতীয় ধাপ ১ জুনের আগে শুরু করা যাবে না বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, ফাঁকা মাঠে খেলা শুরু করলে সারা দেশের মানুষের মনোবলকে তা চাঙ্গা করতে পারে। কিন্তু ঘটনা হচ্ছে, সরকারি নির্দেশনামা অনুযায়ী, ১ জুনের আগে ফাঁকা মাঠেও খেলা শুরু করা যাচ্ছে না। সরকারের পক্ষে জানানো হয়েছে, খুব বেশি সংখ্যক দর্শক উপস্থিতির সেই পুরনো দৃশ্য দেখা যেতে পারে সংক্রমণের সংখ্যা অনেক কমতে থাকলে। এ দিনই আবার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলির বৈঠক ছিল লিগের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ নিয়ে। তবে সরকারের সবুজ সংকেত পেলে ইপিএল শুরু হতে পারে জুনে।
যা কিছুটা হলেও স্বস্তি ফেরাতে পারে লিভারপুলের শিবিরে। ৩০ বছরের যন্ত্রণা ভুলে ফের ইপিএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন দেখছে য়ুর্গেন ক্লপের দল। ১৯৯০-এর পরে ফের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য লিভারপুলের প্রয়োজন মাত্র ৬ পয়েন্ট। ২৯ ম্যাচে ৮২ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবলের শীর্ষে রয়েছেন মহম্মদ সালাহ, সাদিয়ো মানেরা। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ম্যাঞ্চেস্টার সিটির পয়েন্ট ২৮ ম্যাচে ৫৭। এই পরিস্থিতিতে বাকি ৯টি ম্যাচের মধ্যে দু’টিতে জিতলেই ৮৮ পয়েন্ট হবে লিভারপুলের। ফলে ম্যান সিটি শেষ দশটি ম্যাচে জিতলেও ৮৭ পয়েন্টের বেশি পাবে না।
১৩ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে ইপিএলের খেলা। এখনও বাকি রয়েছে ৯২টি ম্যাচ। এই পরিস্থিতিতে ফের কী ভাবে খেলা শুরু এবং শেষ করা যায় তা নিয়েই আলোচনা করেন ক্লাব কর্তারা। যদিও ইপিএল ফের শুরু করার পক্ষে একেবারেই নন সের্খিয়ো আগুয়েরো। ম্যান সিটি তারকা কয়েক দিন আগেই এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘‘প্রকাশ্যে স্বীকার না-করলেও অনেক ফুটবলারই আতঙ্কে রয়েছে। প্রত্যেকেরই পরিবার, সন্তান রয়েছে। এখনই খেলা শুরু হলে সকলেই খুব অস্বস্তিতে থাকব। সব সময় সতর্ক থাকতে হবে। আমি নিজেও খুবই উদ্বেগের মধ্যে আছি।’’