অকপট: ফুটবল জীবনে এত কিছু পাবেন, নিজেরই বিশ্বাস হয় না মেসির।
আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতানো তাঁর স্বপ্ন। কিন্তু তার অন্য আর কোনও ট্রফি ছাড়তে রাজি নন লিয়োনেল মেসি। এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই মজা করে বলেছেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি। ফুটবল জীবনে মেসির মুকুটে বলতে গেলে সব পালকই আছে। কিন্তু কখনও নিজের দেশকে কোনও টুর্নামেন্টে তিনি চ্যাম্পিয়ন করতে পারেননি। এটা বার্সেলোনা অধিনায়কের স্থায়ী আফসোসের একটা জায়গা। বলেছেন, ‘‘নিজের দেশকে কখনও বিশ্বসেরা করতে পারলে কী যে খুশি হব, তা বলে বোঝাতে পারব না।’’
মেসি মজা করে আরও বলেছেন, ‘‘বিশ্বসেরা হতে চাই। কিন্তু তার জন্য এতদিন যে যে ট্রফি ক্লাবের জন্য জিতেছি, তার একটাও ছাড়তে আমি রাজি নই। ফুটবল জীবনে বাকি যা যা হয়েছে, তার সবই আমার কাছে পরম তৃপ্তিদায়ক ঘটনা।’’ সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘‘আমি যা এত দিনে পেয়েছি, তার সবই আমাকে দিয়েছেন ঈশ্বর। সেটাই পরম সত্য। স্বপ্নেও কখনও ভাবিনি যে, ফুটবল জীবনে এতকিছু আমি করতে পারব। আজও মনে হয় ফুটবল থেকে আমার যাবতীয় প্রাপ্তিযোগ অকল্পনীয় কিছুই।’’
এ দিকে, চমকে দিলেন রায়ান গিগ্স। যিনি এখন গ্যারেথ বেলের দেশ ওয়েলসের জাতীয় কোচ। খেলতেন মিডফিল্ডে। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলেছেন ৬৩২ ম্যাচ। ইপিএলে তাঁর থেকে বেশি ম্যাচ খেলেছেন একজনই। গ্যারেথ ব্যারি। ৬৫৩। গিগ্স সারা জীবন খেলেছেন ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডে। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর প্রাক্তন সতীর্থ তিনি। পর্তুগিজ মহাতারকার সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্বের কথা সুবিদিত। এ হেন গিগ্স সবাইকে অবাক করে লিয়োনেল মেসির সঙ্গে রোনাল্ডোর তুলনা প্রসঙ্গে আর্জেন্টাইন তারকাকেই কিন্তু অনেকটা এগিয়ে রাখলেন।
এক সাক্ষাৎকারে গিগ্স বলেছেন, ‘‘অবশ্যই আমার রোনাল্ডোর প্রতি একটু হলেও দুর্বলতা আছে। কারণ অনেক দিন আমরা একসঙ্গে খেলেছি। আমার চোখের সামনে রোনাল্ডো ক্রমশ নিজের খেলায় উন্নতি করেছে। কিন্তু আমার চোখে মেসি একজন বিরল প্রতিভা। সচরাচর এমন সৃজনশীল ফুটবলার দেখা যায় না। তাই দু’জনের তুলনা করতে হলে, আমার পছন্দ অবশ্যই মেসি। ও অনেকটাই এগিয়ে। এটাই সহজ সত্য। এর পরে আর কোনও কথাই থাকতে পারে না।’’
রোনাল্ডোর সঙ্গে ছ’বছর খেলেছেন গিগ্স। তাঁদের যুগলবন্দির সময়কালে ম্যান ইউ তিন বার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ জিতেছে। পেয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেতাব। তাই গিগ্স মেসিকে এতটা এগিয়ে রাখায় অনেকে বেশ অবাক। পাশাপাশি তিনি অসম্ভব পছন্দ করেন ওয়েলসের অধিনায়ক গ্যারেথ বেলকে। তাঁর মতে, জ়িনেদিন জ়িদানের কোচিংয়ে রিয়াল মাদ্রিদে বেলের নিয়মিত সুযোগ না পাওয়া একটা বিস্ময়। তিনি বলেছেন, ‘‘ওর রিয়ালে নিয়মিত সুযোগ না পাওয়া আমার কাছে খুব অদ্ভুত মনে হয়। বিশেষ করে ফুটবলার হিসেবে ওর দক্ষতার কথা ভাবলে সত্যিই সেটা আমার কাছে বিস্ময়কর। কে না জানে, চার বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগজয়ী দলের ফুটবলার বেল।’’