-ফাইল চিত্র
মোহনবাগান — ২ বিএসএস— ১
(চামোরো ২৯', নাওরেম ৪৭') (ওকোপু ৩২')
ডার্বির আগে স্বস্তি মোহনবাগান শিবিরে। কলকাতা লিগে প্রথম জয় পেল কিবু ভিকুনার দল। এ বার কলকাতা লিগে শুরুটা ভাল করেনি শতাব্দীপ্রাচীন ক্লাব। প্রথম ম্যাচেই পিয়ারলেস মাটি ধরিয়েছিল মোহনবাগানকে। দ্বিতীয় ম্যাচে কাস্টমসের বিরুদ্ধে হোঁচট খেতে হয়েছিল চামোরো সালভাদের। বুধবার কল্যাণীর সবুজ গালচেতে রঘু নন্দীর বিএসএস-কে ১-২ হারিয়ে লিগে প্রথম জয় পেল মোহনবাগান।
রবিবার বাংলা ভাগ হয়ে যাওয়ার সেই ম্যাচ। এ দিন ঘরের মাঠে এরিয়ান্সকে হারিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। কল্যাণীতে মোহনবাগান জয় পাওয়ায় ডার্বির আগে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নিলেন চামোরো-বেইতিয়ারা। তবে কিবু ভিকুনার চিন্তা বাড়াচ্ছে দলের ফিটনেস। শেষ কুড়ি মিনিট দলটাকে কেমন যেন ক্লান্ত দেখাচ্ছে। ডিফেন্সও চিন্তায় রাখছে স্পেনীয় কোচকে। ডুরান্ড কাপ ফাইনালে গোকুলমের মার্কাস জোসেফ সবুজ-মেরুনের ডিফেন্ডারদের পরীক্ষা নিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: কলকাতা লিগে ৩-০ গোলে এরিয়ানকে উড়িয়ে দিল ইস্টবেঙ্গল
এ দিন অবশ্য নতুন দিন। নতুন ম্যাচ বেইতিয়াদের। নতুন মাঠ। শুরুর দিকে বাগানের খেলায় রামধনুর রং। খেলার ২৯ মিনিটে চামোরোর গোলে এগিয়ে যায় মোহনবাগান। নাওরেমের সেন্টার থেকে স্পেনীয় স্ট্রাইকার বিষ ঢালেন। কলকাতা ময়দানে খেলতে নামার পর থেকেই বেশিরভাগ গোল হেডে করেছেন চামোরো। স্প্যানিশ মিডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে চামোরো একবার বলেছিলেন, উচ্চতাকে কাজে লাগিয়ে হেডে গোল করতেই তিনি পছন্দ করেন। এ দিনও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তবে চামোরোর গোল বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি বাগান। ৩২ মিনিটেই বিএসএস-এর ওকোপু সমতা ফেরান বেহালার দলটার হয়ে।বিরতির পরে নাওরেম ব্যবধান বাড়ান। তার পরে অবশ্য কোনও দলই আর গোল করতে পারেনি। ম্যাচ যত গড়ায়, বাগানকেও ফ্যাকাশে দেখায়। তবে রবিবার সম্পূর্ণ অন্য ধরনের ম্যাচ। কলকাতা আসার আগে থেকে এই ম্যাচের কথা শুনে এসেছেন কিবু-সহ বাকি স্পেনীয় ফুটবলাররা। রবিবারই স্বাদ পাবেন চিরআবেগের ম্যাচের।