গোলের পর কোলাডো। ছবি: রয়টার্স
ইস্টবেঙ্গল – ২, বিএসএস স্পোর্টিং ক্লাব- ১
(কোলাডো ১৭’, বিদ্যাসাগর ৫২’) (অপকু ৯৩’ পেনাল্টি)
কলকাতা ফুটবল লিগে প্রথম জয় ইস্টবেঙ্গলের। কোলাডো ও বিদ্যাসাগরের গোলে জয় পেল লাল-হলুদ। প্রথম বার কলকাতা লিগে সুযোগ পাওয়া বিএসএস স্পোর্টিং ক্লাবকে হারায় তারা।সারা ম্যাচে একাধিক সুযোগ তৈরি করে আলেয়ান্দ্রোর দল। বৃষ্টি ভেজা মাঠে বলের ওপর নিয়ন্ত্রণ রেখে দারুণ ফুটবল উপহার দিল ইস্টবেঙ্গল। লাল-হলুদের হয়ে গোল করেন সান্তোস কোলাডো এবং বিদ্যাসাগর সিংহ। শেষ বেলায় বিএসএস-এর হয়ে পেনাল্টি থেকে ব্যবধান কমান অপকু। বৃষ্টি উপেক্ষা করে প্রিয় দলের খেলা দেখতে আসা লাল-হলুদ সমর্থকদের সারাক্ষণ গান গেয়ে দলকে উৎসাহিত করে যাওয়া এক মনোরম পরিবেশ তৈরি করে মাঠে।
বৃষ্টির জন্য ম্যাচ শুরু হয় চল্লিশ মিনিট দেরিতে। ম্যাচ কমিশনার সুদেষ্ণা মুখোপাধ্যায় ইস্টবেঙ্গল মাঠ পরিদর্শন করেন বার বার। দেখা যায় দু’দিকের গোলপোস্টের সামনে জল জমেছে। রবিবারের এই সাময়িক বৃষ্টিতে ম্যাচ না হলে তা খুবই খারাপ দৃষ্টান্ত হয়ে থাকতো কলকাতা ময়দানের জন্য। বিশেষ করে ইস্টবেঙ্গল মাঠের জন্য।
তবে খেলা শুরু হতেই বোঝা যায় আজকের ম্যাচে জয়ের জন্য কতটা মরিয়া ইস্টবেঙ্গল। প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক দেখায় তাদের। ১৭ মিনিটের মাথায় সান্তোস কোলাডোর গোলে এগিয়ে যায় গঙ্গাপারের ক্লাব। বিএসএসের ডিফেন্ডারদের ভুলে বল পেয়ে যান কোলাডো। গোলের সামনে সহজ সুযোগ নষ্ট করেননি তিনি। ঠাণ্ডা মাথায় বল জড়িয়ে দেন জালে। বল আটকানোর কোনও সুযোগই পাননি বিএসএস গোলকিপার সন্দীপ। তারপরের মুহূর্তে আবার ফ্রি-কিক পেয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। যদিও এ বার সেই শট প্রতিহত করেন বিএসএস গোলকিপার। প্রথমার্ধে একাধিক গোলের সুযোগ তৈরি করেন ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ব্যবধান বাড়ান বিদ্যাসাগর সিংহ। কোলাডোর বাড়ানো বল বিএসএস ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে চলে আসে বিদ্যাসাগরের পায়। পেনাল্টি বক্সের বাইরে থেকে দ্রুত শট নেন তিনি। বৃষ্টি ভেজা মাঠে বল ধরতে গিয়েও পারেননি সন্দীপ। তাঁর হাতের তোলা দিয়ে বল চলে যায় গোলে। সুযোগ সন্ধানী স্ট্রাইকারের পরিচয় দেন বিদ্যাসাগর।
আরও পড়ুন- ব্যাডমিন্টনে দেশের প্রথম বিশ্বচ্যাম্পিয়ন! সিন্ধুপ্লাবনে হারিয়ে গেলেন ওকুহারা
খেলার পাঁচ মিনিটের মাথায় নতুন বিদেশি স্ট্রাইকার মার্কোসকে ফাউল করেন বিএসএস ডিফেন্ডার। শুরুতেই ভাল জায়গায় সেট-পিস পেয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু কোলাডোর জোড়ালও ফ্রি-কিক রুখে দেন গোলরক্ষক সন্দীপ। একের পর এক আক্রমণ উঠে আসতে থাকে বিএসএস গোল লক্ষ্য করে।
বৃষ্টি ভেজা মাঠে এই দাপুটে জয় আলেয়ান্দ্রোর দলকে আত্মবিশ্বাস জোগাবে পরবর্তী ম্যাচেও।