মেরি কম। —ফাইল চিত্র।
মণিপুরের হিংসা নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রাক্তন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন বক্সার মেরি কম। তাঁর গ্রাম যুযুধান দুই গোষ্ঠী কুকি এবং মেইতেইদের গ্রামের মাঝে। হিংসায় ক্ষতিগ্রস্ত তাঁর গ্রামও। হিংসা থামাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হস্তক্ষেপ চাইলেন রাজ্যসভার প্রাক্তন সদস্য।
মণিপুরের স্বীকৃত ৩৫টি উপজাতির অন্যতম কম। মেরি সেই উপজাতি ভুক্ত। তাঁর গ্রাম কাঙাতেই হিংসায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিভিন্ন বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার শাহকে চিঠি দিয়ে অবিলম্বে মণিপুরের হিংসে বন্ধ করতে পদক্ষেপ করার আর্জি জানিয়েছেন ছ’বারের বিশ্বজয়ী বক্সার।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে মেরি জানিয়েছেন, কুকি এবং মেইতেইদের সংঘর্ষের কারণে গত কয়েক মাস ধরে ভীষণ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কম উপজাতির মানুষেরা। অথচ কম উপজাতির মানুষেরা কোনও ভাবেই এই হিংসার সঙ্গে যুক্ত নন। কমদের কারও কাছে আগ্নেয়াস্ত্র নেই। কমদের কোনও গ্রামে বাঙ্কারও তৈরি করা হয়নি। অথচ দফায় দফায় ধারাবাহিক হিংসায় তাঁদের জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠছে। দুই গোষ্যীর লড়াইয়ের মাঝে পড়েছেন তাঁরা। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা জন্য কমদের গ্রামগুলিতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তী রক্ষী মোতায়েনের অনুরোধ করেছেন প্রাক্তন সাংসদ।
মেরির দাবি, কম উপজাতির মানুষেরা মণিপুরের হিংসায় কোনও পক্ষকেই কখনও সমর্থন করেননি। প্রথম থেকে তাঁরা নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েছেন। কম সম্প্রদায়ের জন সংখ্যা ১৪ হাজারের কিছু বেশি। ইম্ফলের চার পাশের উপত্যকাগুলিতে বিভিন্ন গ্রামে বসবাস করেন তাঁরা। অন্য উপজাতিদের মতো পাহাড়ি এলাকায় তাঁরা থাকেন না। তাই চার মাসের হিংসায় স্বীকৃত উপজাতিগুলির মধ্যে তাঁরাই সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত।
তাঁর আরও বক্তব্য, কমদের অধিকাংশ গ্রাম কুকি এবং মেইতেইদের গ্রামদের মধ্যবর্তী এলাকায় হওয়ায় হিংসার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ছে গ্রামগুলিতে। জীবন ক্রমশ কঠিন হয়ে পড়ছে তাঁদের। হিংসায় জড়িয়ে পড়া উভয় পক্ষই তাদের অন্য পক্ষের সঙ্গে থাকার জন্য অভিযুক্ত করছে। অত্যাচারও চালানো হচ্ছে উভয় তরফ থেকে। সব মিলিয়ে কুকি এবং মেইতেইদের মাঝে পড়ে পিষে যাচ্ছেন তাঁরা।