—প্রতীকী চিত্র।
পরকীয়ার অভিযোগে এক মহিলার মাথা এবং ভ্রুর চুল কেটে নেওয়ার অভিযোগে চাঞ্চল্য উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘি ব্লকের আলতাপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতে। এমনকি, ওই বধূকে গণধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয় এবং তাঁর বাড়ির আসবাবপত্র লুটের অভিযোগ উঠল ওই গ্রামে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এলাকার এক বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছেন বধূ, এই অভিযোগে তাঁর বাড়িতে চড়াও হন এলাকার কয়েকশো মানুষ। তাঁদের ‘নেতৃত্বে’ ছিল ওই বিবাহিত যুবকের পরিবার। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার বিকেলে যাঁরা ওই বধূর বাড়িতে চড়াও হন, তাঁদের প্রায় প্রত্যেকের হাতেই ছিল ধারালো অস্ত্র। ওই ভিড় থেকে কয়েক জন নিদান দেন, বধূর চুল কেটে নেওয়ার। এর পর মহিলা এবং তাঁর স্বামীকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, হামলাকারীরা মহিলাকে গণধর্ষণের ষড়যন্ত্রও করেন বলে অভিযোগ নির্যাতিতার। ওই ভিড় থেকে কয়েক জন বয়স্কার জন্য রক্ষা পান নিগৃহীতা। কিন্তু এখানেই থামেনি ওই জনতা। ওই মহিলার অভিযোগ, তাঁর বাড়ির সমস্ত আসবাব লুটের নিদান দেন কয়েক জন মাতব্বর। তার পর তাঁর বাড়ির খাট, স্টিলের আলমারি, ফ্রিজ, জামা-কাপড় পর্যন্ত লুট করে নিয়ে যান কয়েক জন।
ওই মহিলাকে উদ্ধার করে কয়েক জন বৃহস্পতিবার রাতে করণদিঘি হাসপাতালে ভর্তি করান। এর পর করণদিঘি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে নির্যাতিতাকে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে করণদিঘি থানার পুলিশ। এ নিয়ে জেলাশাসক অরবিন্দকুমার মিনা বলেন, ‘‘পুলিশ পদক্ষেপ করেছে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।’’ অন্য দিকে, নির্যাতিতার পরিবার এই ঘটনার বিচার চেয়েছে।