Paris Olympics 2024

অলিম্পিক্সে পদক জিততে ‘৪০-৩০-২০ ড্রিল’! নতুন অনুশীলন ব্যাডমিন্টন তারকা লক্ষ্য সেনের

অলিম্পিক্সে তাঁর থেকে পদকের আশা করছে গোটা দেশ। কিন্তু চলতি বছরে একাধিক ম্যাচ জয়ের মুখ থেকে হারিয়েছেন লক্ষ্য সেন। অলিম্পিক্সের জন্য বিশেষ ধরনের অনুশীলন করছেন তিনি। তারই নাম ‘৪০-৩০-২০ ড্রিল’।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০২৪ ১৯:০৬
Share:

লক্ষ্য সেন। — ফাইল চিত্র।

অলিম্পিক্সে তাঁর থেকে পদকের প্রত্যাশা করছে গোটা দেশ। গত কয়েক বছরের পারফরম্যান্স সেই আশা বাড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু চলতি বছরে একাধিক ম্যাচে জয়ের মুখ থেকে হেরেছেন লক্ষ্য সেন। অলিম্পিক্সে যাতে সেই জিনিস না হয়, তার জন্য বিশেষ ধরনের অনুশীলন করছেন তিনি। তার নাম ‘৪০-৩০-২০ ড্রিল’।

Advertisement

ব্যাডমিন্টনে কোনও ম্যাচ তৃতীয় গেমে যাওয়া এবং স্কোরলাইন ১৮-১৮ বা ২০-২০ হওয়া মানে টানটান উত্তেজনার পরিস্থিতি। ওই অবস্থায় ম্যাচ বার করার জন্য এই ধরনের অনুশীলন কাজে আসে। এই অনুশীলনে খেলোয়াড়ের আত্মবিশ্বাস বাড়ে। রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতি থেকে ম্যাচ জেতার অভ্যাস তৈরি হয়ে যায়।

এ বছর ফরাসি ওপেন এবং অল ইংল্যান্ডে শেষ মুহূর্তে গিয়ে হেরেছেন লক্ষ্য। তাই অলিম্পিক্সে সেই ভুল করতে চাইছেন না। এক সংবাদপত্রে বলেছেন, “ফিট থাকা এবং অন্য রকম ভাবে পরিস্থিতি ভাবা, এর উপরে অনেক কিছু নির্ভর করে। আপনি যত ফিট থাকবেন তত ভাল ভাবতে পারবেন। তৃতীয় গেমে লম্বা র‌্যালি খেলার সময় আপনি ফিট থাকলে বিপক্ষের উপরে বেশি চাপ দিতে পারবেন।”

Advertisement

‘৪০-৩০-২০ ড্রিল’ বা ‘মাল্টি ফিড ড্রিল’ কী?

এই অনুশীলনে শরীরের উপর চাপ পড়ে। লম্বা সময়ে খেলার জন্য শরীরকে তৈরি করা হয়। নেটের উল্টো দিকে থাকেন এক জন ‘ফিডার’। কৌশলগত ভাবে ৪০টি জায়গা থেকে তিনি নেটের এ পারে শাটল পাঠান। লক্ষ্যকে সেগুলি রিটার্ন করতে হয়। টানা ১০ বার এই অনুশীলন করেন লক্ষ্য। এর পর মাত্র ১০ সেকেন্ডের বিরতি। তার পর ‘ফিডার’ আবার ৩০টি শাটল পাঠান। সেগুলি রিটার্ন করেন লক্ষ্য। এর পর ২০টি করে শাটল পাঠান ‘ফিডার’। আবার রিটার্ন করেন লক্ষ্য। মোট ১০ বার এটি করতে। অর্থাৎ, প্রথমে ৪০, মাঝে ৩০ এবং শেষে ২০টি শাটলের রিটার্ন। একেই বলা হচ্ছে ‘৪০-৩০-২০ ড্রিল’।

লক্ষ্যর কোচ বিমল কুমার বলেছেন, “অনেক ভাবে এই অনুশীলন করা যায়। কখনও রক্ষণাত্মক খেলা যায়, কখনও আক্রমণাত্মক। গতি বাড়ানো বা কমানো যায়। ছোটখাটো কৌশল বদলে ফেলা যায়।” লক্ষ্য জানিয়েছেন, এই অনুশীলনের পর শরীর ক্লান্ত হয়ে যায়। শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement