ভারতের কোচ গৌতম গম্ভীর। ছবি: পিটিআই।
শ্রীলঙ্কায় পৌঁছে সময় নষ্ট করল না ভারতীয় দল। মঙ্গলবার থেকেই তারা অনুশীলনে নেমে পড়ল। গৌতম গম্ভীরের অধীনে নতুন যুগ শুরু হয়ে গেল ভারতীয় ক্রিকেটে। এ দিন সকালে কলম্বোর স্টেডিয়ামে অনুশীলন করল ভারতীয় দল।
সম্প্রচারকারী চ্যানেল এবং বোর্ডের তরফে ভিডিয়ো পোস্ট করে ভারতের অনুশীলনের ছবি দেখানো হয়েছে। বাস থেকে সবার আগে হার্দিক পাণ্ড্যকে নামতে দেখা যায়। তার পিছনেই নামেন গম্ভীর। এর পর একে একে সঞ্জু স্যামসন, শিবম দুবে, খলিল আহমেদরা নেমে স্টেডিয়ামে ঢুকে যান।
কিছু ক্ষণ পর সকলে অনুশীলনে নামেন। সেখানেও হার্দিকের পিছনে গম্ভীরকে নামতে দেখা যায়। সূর্য এবং সিরাজ গল্প করতে করতে সিঁড়ি দিয়ে নামেন। অনুশীলনের মাঝে কিছু ক্রিকেটারের সঙ্গে কথা বলেন গম্ভীর। সঞ্জুকে দেখা যায় কভার ড্রাইভ শেখাতে। কথা বলেন সূর্যের সঙ্গে। গোটা দল একসঙ্গে গোল হয়ে দাঁড়ায়। সেখানে গম্ভীর এবং সূর্যকে বক্তব্য রাখতে দেখা যায়।
সব মিলিয়ে, গম্ভীরের অধীনে প্রথম অনুশীলনে ভারতকে ফুরফুরেই লেগেছে। অধিনায়কত্ব হারানো হার্দিকও যে মনমরা, এমনটাও মনে হয়নি। তবে সোমবার হার্দিককে দায়িত্ব না দেওয়ার প্রসঙ্গে নির্বাচক প্রধান অজিত আগরকর বলেছিলেন, “আমরা এক দিনে অধিনায়ক নির্বাচক করিনি। অনেক দিন ধরে আলোচনা হয়েছে। সাজঘর থেকে খবর নিয়েছি। তার পরেই নতুন অধিনায়ক হিসাবে সূর্যকে ভেবেছি।”
আগরকরের এই কথায় প্রশ্ন উঠছে, তবে কি সাজঘরে হার্দিকের ভাবমূর্তি খুব একটা ভাল নয়? সতীর্থদের সঙ্গে কি তাঁর সম্পর্ক খারাপ? সেই জন্যই কি সূর্যকে বেশির ভাগ ক্রিকেটার অধিনায়ক হিসাবে দেখতে চেয়েছেন? সে বিষয়ে অবশ্য স্পষ্ট করে কিছু জানাননি আগরকর। বলেছিলেন, “আমাদের হাতে সময় আছে। পরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দু’বছর পরে। আশা করি সূর্য ভাল ভাবে নেতৃত্ব দেবে।”