লোকেশ রাহুল। এপি
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এখনও দশ মাস দূরে। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে এই সিরিজটা ভারতের কাছে ভাল পরীক্ষার মঞ্চ হয়ে উঠতে পারে। শক্তিশালী, এই ভারতীয় দলটা বুঝে নিতে পারে কোথায় কোথায় আরও উন্নতি দরকার। বাংলাদেশের কাছে একটা টি-টোয়েন্টি ম্যাচে হার কিন্তু চোখ খুলে দিয়েছে। বোঝা গিয়েছে, এই ধরনের ক্রিকেটে কোনও দলকেই হাল্কা ভাবে নেওয়া যায় না। কোনও এক জনের ব্যক্তিগত প্রচেষ্টাই ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে পারে।
ভারতীয় দলে বিরাট কোহালি এবং ভুবনেশ্বর কুমার ফিরে এসেছে। ফলে ভারত এখন প্রায় পুরো শক্তির দল নিয়ে নামতে পারবে। এক বার যশপ্রীত বুমরা মাঠে ফিরলে তখন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল মোটামুটি ছকে নিতে পারবে ভারত।
এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, বরাবর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দাপট দেখিয়ে এসেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এখানে দীর্ঘ সময় ধরে উইকেটে পড়ে থাকার ব্যাপার নেই। তাই ঝোড়ো একটা পারফরম্যান্স খেলা ঘুরিয়ে দিতে পারে। প্রত্যাশিত ভাবেই দু’একটা বড় নাম ওদের দলে নেই। তবে তরুণ কয়েক জন প্রতিশ্রুতিমান ক্রিকেটার দলে আছে। নতুন অধিনায়ক কায়রন পোলার্ডের নেতৃত্বে ওদের থেকে একটা মরিয়া লড়াই আশা করব। এই সিরিজের আগে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের মাটিতে বেশ কয়েকটা ম্যাচ খেলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেই অভিজ্ঞতা ওদের কাজে লাগবে বলে মনে হয়।
ভারতের ক্ষেত্রে বলব, সময় হয়েছে শিখর ধওয়নের বদলে অন্য কাউকে ভাবার। ওপেনার হিসেবে সুযোগ দেওয়া হোক কে এল রাহুলকে। শুরুতে ভারতের দরকার একটা ঝোড়ো ইনিংস। এই জায়গাটায় ভারতের একটু খামতি থেকে যাচ্ছে। অবশ্যই পরের দিকে কোহালি এবং আরও সব পাওয়ার হিটাররা আছে, কিন্তু বড় ম্যাচে সেটা যথেষ্ট নাও হতে পারে। গত কয়েক বছর ধরে আইসিসি প্রতিযোগিতায় আমরা সেটা দেখতেও পেয়েছি।
বোলিংয়ে বিশেষ কোনও সমস্যা নেই। সেরারা প্রায় সবাই ফিরে এসেছে। রবীন্দ্র জাডেজার প্রত্যাবর্তনে স্পিনারদের মধ্যেও প্রতিযোগিতাটা বাড়বে। অধিনায়কের জন্য এটা একটা ভাল ব্যাপার। ফিল্ডিং নিয়ে আর কী বলার আছে। দুর্দান্ত উন্নতি হয়েছে এই বিভাগে।
হায়দরাবাদ হল এমন একটা কেন্দ্র যেখানে ব্যাটসম্যানরা বরাবরই সুবিধে পেয়ে এসেছে। আউটফিল্ডটাও খুব ভাল। দ্রুত বল বাউন্ডারিতে পৌঁছয়। ফলে বোলারদের জন্য চ্যালেঞ্জটা কঠিন হতে পারে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পাওয়ার হিটারদের কথাটা মাথায় রেখে বলব, ভারতীয় বোলারদের জন্য কিন্তু শক্ত লড়াই অপেক্ষা করে থাকবে।
একটা ভাল সিরিজ দেখার অপেক্ষায় থাকলাম। ভারত যদি নিজেদের ক্ষমতা অনুযায়ী খেলতে পারে, তা হলে আজ, শুক্রবার প্রথম ম্যাচ জিততে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। (টিসিএম)