প্রত্যয়ী: ভুল শুধরে লড়াইয়ের প্রতিশ্রুতি পোলার্ডের। ফাইল চিত্র
কোনও ফর্ম্যাটেই তাঁকে আটকে রাখা যাচ্ছে না। দিনরাতের টেস্টে সেঞ্চুরি করেছেন। গোলাপি বলের সুইং ও বাউন্সকে কাবু করে ইডেনকে উপহার দিয়েছেন ক্রিকেটবিশ্বের অন্যতম সেরা ইনিংস। ওয়ান ডে-তেও তিনি একই রকম সাবলীল। বৃহস্পতিবার হায়দরাবাদে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে রান তাড়া করে তাঁর অপরাজিত ৯৪ রানের ইনিংস সহজে ভুলতে পারবেন না ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীরা।
বিরাটের এই ইনিংসে মুগ্ধ ভিভ রিচার্ডস থেকে বীরেন্দ্র সহবাগ। এমনকি বিপক্ষ অধিনায়ক কায়রন পোলার্ডও বিস্মিত বিরাটের এই ইনিংসে। কেসরিক উইলিয়ামসের বিরুদ্ধে ছয় মারার পরে বিরাটের বিশেষ উৎসব দেখেও আবাক নন পোলার্ড। শুক্রবার ম্যাচ শেষে সাংবাদিক বৈঠকে এসে ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক বলেন, ‘‘বিরাট একেবারে অ্যানিমেটেড ক্যারেকটর। অসাধারণ ব্যাটসম্যান। ক্রিকেটবিশ্বকে প্রমাণ করে দিয়েছে, কেন ও বিশ্বের সেরা।’’ বিরাট-উৎসব নিয়ে পোলার্ডের মন্তব্য, ‘‘বিরাট যে ভঙ্গি করেছে তা খেলারই অঙ্গ। কখনও দ্রুত রান করার জন্য নিজেকে তাতাতে এ রকম অঙ্গভঙ্গি করে অনেকে। খারাপ কিছু দেখছি না।’’
পোলার্ড যদিও তাঁর দলের ব্যাটসম্যানদের পারফরম্যান্সে খুশি। কিন্তু বোলারদের প্রয়াসে হতাশ। বিপক্ষ অধিনায়ক বলছিলেন, ‘‘আমরা খুব ভাল ব্যাট করেছি। যে কোনও পিচেই ২০০ রান খারাপ স্কোর না। কিন্তু বোলিং ও ফিল্ডিংয়ে শৃঙ্খলা দেখা যায়নি। সেটাই হারের মূল কারণ।’’
পরিসংখ্যান বলছে ভারতের মতো দলের বিরুদ্ধে ২৩ রান অতিরিক্ত দিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ওয়াইড ও নো-বল নিয়ন্ত্রণ করার কোনও লক্ষ্যই দেখা যায়নি তাঁদের মধ্যে। পোলার্ড বলছিলেন, ‘‘ভারতের মতো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে যদি ২৩ রান অতিরিক্ত দিয়ে ফেলি। সেখান থেকে ফেরার কোনও জায়গা থাকে না। ২৩ রানের মধ্যে ১৪ থেকে ১৫ রানই ওয়াইড। তার উপর নো-বলও রয়েছে। ভারতের মতো শক্তির বিরুদ্ধে নিয়ন্ত্রণহীন বোলিং করার ফল পেয়ে গিয়েছি। আশা করি, আগামী ম্যাচে একই ভুল করব না আমরা।’’
ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক যদিও প্রথম ম্যাচ থেকে বহু ইতিবাচক মুহূর্তের উল্লেখ করেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘ওপেনার হিসেবে এভিন লুইস যে ইনিংস খেলেছে, সেটাই ওর থেকে আশা করা গিয়েছিল। সব চেয়ে ইতিবাচক দিক, শিমরন হেটমায়ার ও ব্র্যান্ডন কিংয়ের রানে ফেরা। গত সিরিজে সে রকম ফর্মে ছিল না তারা। চেয়েছিলাম ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচ থেকেই তারা ছন্দে ফিরুক। সেটাই হল।’’ পোলার্ড আরও বলেন, ‘‘দলের বেশ কিছু জায়গায় গলদ তো রয়েইছে। কিন্তু অধিনায়ক হিসেবে ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচ শেষে হারলেও আমি খুব একটা দুঃখিত নই।’’
পোলার্ডকে জিজ্ঞাসা করা হয়, তৃতীয় আম্পায়ারের সাহায্যে নো-বল ঘোষণা করার নিয়ম সমস্যা তৈরি করছে কি না। পোলার্ডের উত্তর, ‘‘নতুন এই নিয়ম নিয়ে আমাদের কোনও সমস্যা নেই। নো-বল করেছি তাই তৃতীয় আম্পায়ার নো-বল ডেকেছেন। বোলার হিসেবে আমাদের দায়িত্ব পপিং ক্রিজের ভিতরে পা রাখার। সেটা করলে নিশ্চয়ই তৃতীয় আম্পায়ার নো ডাকতেন না। আমাদের হাতে যা রয়েছে তা নিয়ে ভাবা উচিত। নিয়ম নিয়ে কোনও সমস্যা নেই।’’
আজ, রবিবার তিরুঅনন্তপুরমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি খেলতে নামবে বিরাট-বাহিনী।