East Bengal

ডার্বিতে নজর কিবুর, জয় চান সনিও

মারিয়ো রিভেরার দলের খেলা শেষ পাঁচটি ম্যাচের কাটাছেঁড়া করে কোন জায়গায় জনি আকোস্তারা এগিয়ে বা পিছিয়ে, তা কিবুর হাতে তুলে দিয়েছেন, ভিডিয়ো অ্যানালিস্ট নীতিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ মার্চ ২০২০ ০৬:৪৪
Share:

লক্ষ্য: মরসুমের শেষ ডার্বিতেও এই ছবি ফেরাতে মরিয়া কিবুর দল। ফাইল চিত্র

আই লিগ খেতাব জয়ের পরের দিনই কিবু ভিকুনা প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন ডার্বির। জোসেবা বেইতিয়া, শঙ্কর রায়দের দু’দিনের ছুটি দিয়ে মোহনবাগানের স্পেনীয় কোচ ল্যাপটপ নিয়ে বসে পড়েছেন রবিবারের ইস্টবেঙ্গল ম্যাচের রণনীতি তৈরি করতে।

Advertisement

মারিয়ো রিভেরার দলের খেলা শেষ পাঁচটি ম্যাচের কাটাছেঁড়া করে কোন জায়গায় জনি আকোস্তারা এগিয়ে বা পিছিয়ে, তা কিবুর হাতে তুলে দিয়েছেন, ভিডিয়ো অ্যানালিস্ট নীতিশ। আইজল এফসি-র বিরুদ্ধে জিতে খেতাব দখলের পরে ড্রেসিংরুমে ফিরেই কোচিং স্টাফদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন পাপা বাবাকর দিয়োহারাদের কোচ। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘ডার্বিতে ফোকাস ঠিক রাখতে হবে। ইস্টবেঙ্গল ম্যাচ-সহ চারটি ম্যাচেই যত বেশি সংখ্যক সম্ভব পয়েন্ট তুলতে হবে। তবে প্রথম লক্ষ্য হবে ডার্বি জয়।’’ বুধবার এবং বৃহস্পতিবার সুহের, ননগোম্বা নওরেমদের ছুটি দিয়ে দিয়েছেন চ্যাম্পিয়ন দলের কোচ। ফুটবলারদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে বলে দেওয়া হয়েছে, সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কোনও কথা না বলতে। বেইতিয়া, ফ্রান গঞ্জালেসরা কেউ তাদের বান্ধবী অথবা কেউ তাদের পরিবারকে নিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন শহরের বিভিন্ন জায়গায়। ঘনিষ্ঠমহলে কিবু অবশ্য বলেছেন, ‘‘ডার্বি সব সময়ই অন্য রকম ম্যাচ হয়। অন্য আবেগ থাকে। খেতাব জেতার পরে ডার্বি হারলে সেটা সদস্য-সমর্থকদের কাছে বড় ধাক্কা হবে। ইস্টবেঙ্গল দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। তারা শেষ চারটি ম্যাচ অপরাজিতও রয়েছে।’’

মোহনবাগানের সুবিধা ডার্বিতে আবার মাঠে ফিরবেন স্পেনীয় স্টপার ফ্রান মোরান্তে। ড্যানিয়েল সাইরাসও সুস্থ। মোরান্তে-সাইরাস জুটি স্টপারে খেললে ফ্রান গঞ্জালেসকে মাঝমাঠে খেলাতে পারবেন কিবু। সে ক্ষেত্রে সুহের ভিপি-র সঙ্গে বেইতিয়াকে আক্রমণ সচল রাখতে আরও সক্রিয় ভাবে ব্যবহার করতে পারবেন তিনি। ডার্বি জিততে মরিয়া কিবু যখন নিজের বাড়িতে রণনীতি নিয়ে ব্যস্ত, তাঁর মধ্যেই সনি নর্দে সবুজ-মেরুন সমর্থকদের কাছে অনুরোধ করলেন, রবিবার মাঠ ভরিয়ে দেওয়া জন্য। দলকে সমর্থন জানাতে মাঠে আসার জন্য। পাঁচ বছর আগে শিল্টন পালের অধিনায়কত্বে যে দলটি শেষ বার আই লিগ জিতেছিল, সেই দলে ছিলেন সনি। এখন মালয়েশিয়ায় মাল্লাকা ইউনাইটেডে খেলেন সনি। সেখান থেকেই তিনি বলেছেন, ‘‘শুনলাম দশ বছর আগের ডেম্পোর রেকর্ড ছুঁয়েছে মোহনবাগান। চার ম্যাচ আগেই লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বেইতিয়া, ফ্রান, শঙ্কর রায়রা। হোলির দিনে আমার প্রিয় ক্লাব আই লিগে জিতে সবুজ-মেরুন আবির খেলেছে। খবরটা শুনে মনে হচ্ছিল, আমিও চলে যাই ওই উৎসবে যোগ দিতে।’’ মোহনবাগানে না খেললেও কলকাতা যে তাঁর কাছে এখনও প্রিয়, তা বোঝাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া এক বার্তায় তিনি লিখেছেন, ‘‘আমি নিয়মিত মোহনবাগানের খেলা দেখতে পারি না। মাঝেমধ্যে ক্লিপিংস দেখি। কিন্তু মঙ্গলবার সকালে আমার এক বন্ধুর মা একটি মেসেজ করে আবেদন করেছিলেন, মোহনবাগানের জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করতে।’’ আজকের পাপা বা বেইতিয়াদের মতোই এক সময় সবুজ-মেরুন সমর্থকদের হৃদস্পন্দন ছিলেন সনি। জানেন ডার্বির গুরুত্ব। সে জন্যই তিনি বলেছেন, ‘‘টানা ১৪ ম্যাচ অপরাজিত আছে মোহনবাগান। খেতাব জিতেছে। কিন্তু ডার্বি না জিততে পারলে খেতাব জেতাটা ফিকে হয়ে যায়। কলকাতা, শিলিগুড়ি, কটক যেখানেই ডার্বি হোক এই খেলাটা অন্যরকম হয়। ইস্টবেঙ্গল চাইবে এই ম্যাচ জিতে খেতাব জয়কে মলিন করে দিতে। তাই দেখতে চাই যুবভারতী ভরে যাক মোহনবাগান সমর্থকে। তাতে বেইতিয়ারা উদ্বুদ্ধ হবে। লড়ার জোর পাবে।’’ এরই মধ্যে কাল, শুক্রবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে কিবু-সহ পুরো মোহনবাগান দলকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। আই লিগ জেতার জন্য। শতবর্ষের ইস্টবেঙ্গলকেও সম্মান জানানো হবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement